নগরীর একটি শিশুও যাতে এই কার্যক্রম থেকে বাদ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে

জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধনকালে মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী আজ শনিবার সকালে সদরঘাটস্থ মেমন মাতৃসদন হাসপাতালে উপস্থিত শিশুদের ভিটানিম ‘এ’ খাইয়ে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন করেন ।
ভিটানিম এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নের লক্ষে চসিকের জোন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ইপিআই’র সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। তারা সকাল ৮টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চার দিনব্যাপী নগরীর প্রত্যেকটি শিশুকে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়াবেন। এই ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে ১টি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি আরো বলেন, চসিক নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে ছয় থেকে এগার মাস বয়সী প্রায় আশি হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং বার থেকে উনষাট মাস বয়সী প্রায় চার লক্ষ বায়ান্ন হাজার শিশুকে একটি করে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। কোন শিশু যাতে এই ক্যাম্পেইন থেকে বাদ না পড়ে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন এবং করোনাকালে দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
আলকরণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন-মুক্তিযোদ্ধা অমল মিত্র, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, চসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

চট্টগ্রাম পোর্ট এজেন্টস্ ইউনিয়নের কার্যকরি সংসদের সভায় মেয়র
ডক বন্দর Mমিকদের মূল্যায়ন করা সময়ের দাবী

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন সমাজ এবং দেশের জন্য শ্রম বিক্রি করে যারা উৎপাদন করে তারাই শ্রেষ্ঠ মানুষ। শ্রমকে মূল্যায়ন করাতে না পারলে কোন জাতি বা দেশ সমৃদ্ধ হতে পারে না। তিনি আজ সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম পোর্ট এজেন্টস্ স্টিভিডোরস এন্ড কন্ট্রাক্টরস্ এপ্লয়ীজ ইউনিয়নের উদ্যোগে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও নব নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের কর্মকর্তাদের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি ফেরদৌস আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহানের সঞ্চালয়ান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ক্রাফট ফেডারেশন বিষয়ক সম্পাদক জাতীয় শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিন খান, জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রিয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. মাহফুজুর রহমান খান, জাতীয় শ্রমিক লীগ ডক বন্দর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক চৌধুরী, মো. জামাল উদ্দিন, মো. মেজবাহ উদ্দিন, রশিদ আহমদ, এড. সাজ্জাদুর রহমান বাচ্চু, বিপ্লব মজুমদার, বেলাল হোসেন, মহিউদ্দিন মজুমদার, মো. আব্বাস, মো. নুরুল আলম, মো. শাহজাহান, জেড আর চৌধুরী বাবু, মো. দিদারা ও মো. নজরুল।
মেয়র আরো বলেন, চট্টগ্রাম ডক, বন্দরের শ্রমিকরা মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে পাকিস্তানী হানদার বাহিনীর সোয়ায়ত জাহাজের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এদেশের নিরস্ত্র মানুষকে হত্যার উদ্দেশ্যে যে অস্ত্র এনেছিলো তা শ্রমিক কর্মচারীরাই বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে প্রতিরোধ করতে গিয়ে পাক বাহিনীর গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছিল। তাই বন্দর শ্রমিকদের অসামান্য এই অবদান ইতিহাসের পাতায় স্বার্ণাক্ষরে লিখে রাখার কথা থাকলেও দুর্ভাগ্য জনকভাবে তা হয়ে উঠেনি। এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক।
তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষকে এদের তালিকা তৈরী করে সরকারে কাছে প্রেরণের আহ্বান জানান। মেয়র স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে ডক বন্দরের শ্রমিক কর্মচারীদের রেশনিং ও ন্যার্য মূল্যের দোকানের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সমূহ সরবরাহ করা হতো। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তা বন্ধ করে দেয়া হয়, তা পুনরায় চালূ কারা অনুরোধ জানান। তিনি শ্রম আইন মোতবেক শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য পোষাক, হ্যালমেট, সেফটি সু, হ্যন্ড গ্লাবস্, চশমা ইত্যদি নিরাপত্তা মূলক সরঞ্জাম দেযঅর কথা থাকলেও তা সরবরাহ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়া শ্রমিক কর্মচারীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। যাচাই-বাচাইকৃত শ্রমিকদের নিয়োগ না দিয়ে বহিরাগত লোক নিয়োগ বন্ধ করার আহ্বানও জানান। শ্রমিক কর্মচারীদের বুকিং সেন্টারের ব্যবস্থ্যা শ্রম না করে স্বার্থান্বেসী মহলকে অবৈধভাবে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করে দেয়া শ্রম আইন পরিপন্থি বলে উল্লেখ করে অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বখতিয়ার উদ্দিন খান বলেন, বর্তমান সরকরের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে। শ্রম- আইন মূলে শ্রমিক কর্মচারীদের অনেক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু বন্দরে শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য শ্রম আইন যথাযথ পালন করা হচ্ছে না।
এড. মো. মাহফুজুর রহমান খান বলেন, বন্দরের শ্রমিক কর্মচারীগণ পূর্বে যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা পেতো তা এক এগারর সরকার বন্ধ করে দেয়।শ্রমিক কর্মচারীদের দাবরি সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শ্রম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তা পূর্বের মতো চালু করার চুক্তি হয়। তদানুযায়ী বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে ডক বন্দর শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সাথে এক সমোঝতা চুক্তি স্বাক্ষর হয় তার মধ্যে কিছু সুযোগ সুবিধা চালু হলেও বেশির ভাগ সুবিধা হতে শ্রমিকগণ এখনো বঞ্চিত। তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে জানান, অবাস্তবায়িত সুবিধাগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
আবদুল খালেক চৌধুরী বলেন, বন্দরে এক সংগঠনের এক নেতা বিএনপি জামায়াতীদের আওয়ামী লীগ নেতারা আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছে। অপর এক নেতা বিএনপি জাতয়ি পার্টি থেকে অনুপ্রবেশ করে শ্রমিক লীগকে দ্বিধা ভিভক্ত করর ষড়যন্ত্র করেছে। তাদের ব্যাপারে সকলকে হুশিয়ার থাকার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠান শেষে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নব-নির্বাচিত কার্যকরী সংসদকে শপথ বাক্য পাঠ করান।