উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬জনকে জবাই করে হত্যার মূল আসামী আটক 

কায়সার হামিদ মানিক,উখিয়া।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী (ক্যাম্প ১৮) গত ২২/১০/২০২১, তারিখ গভীর রাতে একটি সংঘবদ্ধ এফডিএমএন দুষ্কৃতকারীদের নৃশংস হামলায় ৬ জন নিরপরাধ এফডিএমএন এর মাদ্রাসার ছাত্র কে হত্যা করে উক্ত হত্যাকান্ডের অন্যতম মূল আসামি মোহাম্মদ জানে আলম (২৫) পিতা মোহাম্মদ সলিম, ক্যাম্প -৯ এর ব্লক সি/১৭, এফসিএন নং -১১৫১৯৮, কে আটক করেছে ৮ এপিবিএন পুলিশের একটি অভিযানিক টীম।
মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় কিছু দুষ্কৃতকারী নাশকতামূলক কর্মকান্ড সাধনের লক্ষ্যে রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প-৯,এর ব্লক সি/১১, এ অবস্থান করছে উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এর কমান্ডিং অফিসার (পুলিশ সুপার) জনাব মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান (পিপিএম)  মহোদয়ের নির্দেশে বালুখালী পান বাজার পুলিশ  ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ কামরান হোসেনের তত্ত্বাবধানে সিনিয়র সরকারি পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে একটি চৌকস ৮ এপিবিএন পুলিশের টীম উল্লেখিত ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মোহাম্মদ জানে আলম (২৫)পিতা মোহাম্মদ সলিম ক্যাম্প-৯, এর ব্লক সি/১১, এফসিএন নং- ১১৫১৯৮, কে একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র সহ গ্রেফতার করেছে আরও কিছু দুষ্কৃতকারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় বলেও জানান অভিযানিক টীম প্রধান।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী জানে আলম কে এপিবিএন পুলিশ কর্তৃক উপর্যপরি জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সাথে সে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে এবং উক্ত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ী আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে এ সময় আসামি জানে আলম লাশের ছবি দেখে সনাক্ত করে যে ধারালো ছুরি দ্বারা পেছন থেকে আঘাত করে রাতে মাদ্রাসা আর মসজিদে অবস্থান করা রোহিঙ্গা সদস্য ইব্রাহিম (২০) পিতা হাবিবুল্লাহ, ক্যাম্প-১৮, ব্লক/এ/৩৮, কে হত্যা করে মর্মে এপিবিএন পুলিশ কে জানায় আসামি জানে আলম।
উল্লেখ্য যে আলোচিত ৬জন রোহিঙ্গা মাদ্রাসার ছাত্র হত্যার পর থেকেই ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এর টীম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং খুনিদের গ্রেফতারে তৎপর হয়ে এই পর্যন্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সর্বমোট ১৮ জন আসামি কে গ্রেফতার করেছে, সর্বশেষ জানে আলম কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হলে সে বিজ্ঞ আদালতে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে, এই হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্য অপরাধীদের ও গ্রেফতারের জন্য এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ৮এপিবিএন পুলিশের  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( মিডিয়া) মোহাম্মদ কামরান হোসেন।