সিনোভ্যাক-সিনোফার্মার টিকা গ্রহণকারীদের ওমরাহ্ পালনের অনুমতি

আগামী হজ সুন্দরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থাকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজ নিজ কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। রোববার প্রতিমন্ত্রী ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ নির্দেশনা দেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড -১৯ করোনা ভাইরাস মহামারি পরিস্থিতির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে সৌদি আরবের বাহিরের দেশ হতে হজযাত্রীগণ সৌদি আরব গমন করতে পারেননি। বর্তমানে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় পবিত্র ওমারহ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হতে বিপুল সংখ্যক ওমরাহ যাত্রী সৌদি সরকার প্রদত্ত স্বাস্থ্যবিধি ও অন্যান্য শর্তাবলি পালন সাপেক্ষে ওমরাহ পালন করছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশা করা যায়, সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই, ৯ জিলহজ্জ ১৪৪৩ হিজরি পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে এবং বাংলাদেশি হজযাত্রীগণ হজে অংশ গ্রহণ করবেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে সৌদি -বাংলাদেশ হজ চুক্তির পর বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে। তবে আগামী হজ সুন্দরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে হজের অনেক কার্যক্রমের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে জানান, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী’র অনুরোধে সৌদি সরকার বাংলাদেশ হতে সিনোভ্যাক-সিনোফার্মার টিকা গ্রহণকারী ওমরাহ যাত্রীগণ বুস্টারডোজ ছাড়াই ওমরাহ্ পালনের অনুমতি দিয়েছে। বৈঠকে প্রাক-নিবন্ধনের বিদ্যমান অবস্থা, নিবন্ধিত হজযাত্রীদের বিদ্যমান অবস্থা, হজ প্যাকেজ, প্রাক নিবন্ধন ও নিবন্ধন কার্যক্রমের বর্তমান অবস্থা, ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়, পাসপোর্ট, রোড টু মক্কা ইনিশিয়েটিভ, বাংলাদেশ হত ওমরা পালনের নিমিত্ত সৌদি আরবে গমনকারী ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজ প্রদান, হজ যাত্রীদের জন্য টিকা ক্রয়, ইলেকট্রনিক হেলথ প্রোফাইল, হজের কার্যক্রম বিষয়ে প্রচার- প্রচারণা, হজ এজেন্সি নবায়ন ও তালিকা প্রকাশ সহ বিবিধ বিষয়ের করণীয় নির্ধারণ করা হয়। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান এনডিসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে ধর্ম, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন, স্বাস্থ্য, তথ্য, সিভিল এভিয়েশন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, হজ অফিস, ঢাকা ও জেদ্দা, পাসপোর্ট, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), সোনালি ব্যাংক, ইসলামিক ফাউ-েশন ও হজ্জ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থার প্রতিনিধিগণ সভায় অংশ গ্রহণ করেন।