ওসি প্রদীপের নেতৃত্বেই সিনহাকে হত্যা করা হয়

টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে ১৫ জন আসামি পূর্বপরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানকে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা ও সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে কথা বলে আদালতে দাখিল করা সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে এটি তুলে ধরা হয়েছে।

আজ বুধবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরার জবাবে এসব কথা তুলে ধরেন সিনহা হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম। আদালত পরিচালনা করেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।গতকাল মঙ্গলবার একই আদালতে মামলার এই তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী, পিপি ফরিদুল আলমসহ তিনজন আইনজীবী। সাক্ষ্য শেষে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত তাঁকে (খাইরুল) জেরা করেন আসামিপক্ষের কয়েকজন আইনজীবী। সময়ের অভাবে তখন অন্য আইনজীবীরা জেরা করতে পারেননি। আজ সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরা। বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সময়েও জেরা চলছিল। আসামিপক্ষের আইনজীবী আছেন অন্তত ১৩ জন।তদন্তকারী কর্মকর্তার পরবর্তী জেরা এবং অন্যান্য সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালত অষ্টম দফার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন ২৯ ও ৩০ নভেম্বর এবং ১ ডিসেম্বর। সপ্তম দফায় এ মামলার ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন ৬৫ জন।

জেরার সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১৫ জন আসামি। সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে ১৫ আসামিকে আদালতে আনা হয়।