সড়ক পরিবহন মন্ত্রীকে যাত্রী কল্যাণ সমিতির স্বারকলিপি

সিএনজিচালিত হিউম্যান হলার, লেগুনা, অটো-টেম্পু, অটোরিক্সার পৃথক পৃথক ভাড়া নির্ধারণ করে চলমান ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানী থেকে আইনী সুরক্ষা পাওয়ার সুযোগ দিতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

আজ ১৫ নভেম্বর ২০২১ সোমবার সকালে মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির কাছে প্রদত্ত এক স্মারকলিপিতে এই দাবি জানায় সংগঠনটি। সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত স্বারকলিপিতে বলা হয়, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে সরকার শুধুমাত্র ডিজেলচালিত বাস-মিনিবাসের ভাড়া বাড়ালেও এই ভাড়া বৃদ্ধি আদেশ জারীর সাথে সাথে সিএনজিচালিত, ডিজেলচালিত, পেট্রোলচালিত, অকটেনচালিত সকল প্রকার বাস-মিনিবাসের পাশাপাশি হিউম্যান হলার, লেগুনা, অটো-টেম্পু, অটোরিক্সা, প্যাডেলচালিত রিক্সা ও মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের পরিবহনে অতিরিক্ত মাত্রায় বর্ধিত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

সংগঠনের গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য পর্যবেক্ষণ উপ-কমিটির সদস্য ও সারাদেশে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানীর সামগ্রিক দিক পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পেয়েছে যে, জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দেশব্যাপী চলাচলরত সিএনজিচালিত হিউম্যান হলার, লেগুনা, অটো-টেম্পু এবং সিএনজি অটোরিক্সায় অস্বাভাবিকহারে বর্ধিত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চালাচ্ছে। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী সকল প্রকার গণপরিবহনের ভাড়া সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করে দেওয়ার ক্ষমতা থাকলেও সরকার এসব পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ না করায় যে যার ইচ্ছেমত ভাড়া আদায় করছে। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা না থাকায় যাত্রীসাধারণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদ করলে পরিবহন শ্রমিকদের হাতে যাত্রীরা নাজেহাল হচ্ছে। এসব গাড়িতে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা না থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ইতিমধ্যে গত প্রায় ০১ দশক ধরে এসব যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে বেশ কয়েক দফা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর কাছে আবেদন করা হলেও সরকার ভাড়া নির্ধারণ করেনি। গণমাধ্যমে এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে ফাইল একটু আগায় আবার গণমাধ্যম নিরব হলে ফাইল আবার ডিপ ফ্রিজে ডুকে পরে বলে স্বারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়। এছাড়াও যাত্রী প্রতিনিধিবিহীন গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণের কারনে মালিকদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী একচেটিয়া ভাড়া নির্ধারণের ফলে যাত্রী সাধারণ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এসব যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণের আগে গণপরিবহন ভাড়া নির্ধারণের ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটি ও ভাড়া নির্ধারণ কমিটি পুণঃগঠন করে মালিক-শ্রমিকদের সংখ্যানুপাতে যাত্রী প্রতিনিধি রাখার দাবি জানান সংগঠনটি।