কৃষ্ণকুমারী বালিকা বিদ্যালয়ে এসএসসি শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা

কৃষ্ণকুমারী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, এসএসসি ২০২১ইং শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ২২নং এনায়েতবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আলহাজ্ব সলিম উল্লাহ(বাচ্চু) এর সভাপতিত্বে বিদ্যালয় অনুষ্টিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উপ-সচিব ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার। বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক জাহানুর খান এর সঞ্চলনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষ্ণকুমারী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকতার হোছাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নীলু নাগ। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য রফিকুল আলম ও হামিদা কাউসার স্বপ্না। বক্তব্য রাখেন, অত্র বিদ্যালয়ের দিবা ও প্রাত: শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আহমেদ হোছাইন ও আবুল বাসার, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের শিক্ষক প্রতিনিধি শাহীনূর জাহান ও বিপ্লব ভট্টাচার্য। শিক্ষার্থীর উদ্দেশ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সিনিয়র শিক্ষক রুমা দেব ও শাহেদা বেগম। শিক্ষার্থীর পক্ষে স্নিগ্ধা বিশ্বাস, ফারজানা জামাল। প্রধান অতিথি চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপ-সচিব লুৎফুন নাহার বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে ঐতিহ্যবাহী কৃষ্ণকুমারী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্বের ফলাফলের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে শিক্ষকদের সচেতনতা থাকতে হবে। শিক্ষকরা যেন শিক্ষার্থীদের আরো মনোযোগী হয়ে পাঠদান করেন। এতে করে আগামীতে অত্র বিদ্যালয় ভবিষ্যতে আরো বেশি নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে। বোর্ড কর্তৃক ফেরত দেয়া অতিরিক্ত ফি: প্রধান অতিথির উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের হাতে এত দ্রুত ফেরত দেয়ার বিষয়টা শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের কাছে ছিলো প্রশংসনীয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিলো বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মাওলানা আহমদ হোছাইনের পরিচালনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান। বক্তারা ছাত্রীদের নানাভাবে উৎসাহিত করার পাশাপাশি, পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য করণীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। ছাত্রীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দীর্ঘদিন পর হলেও এমন অনুষ্ঠান শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের জন্য ছিলো এক ধরনের চ্যালেঞ্জ, যা সফলভাবে সমাপ্ত করা সম্ভব হয়েছে।