তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী ও সতীনকে গ্রেফতার

হালিশহর থানার রহমানবাগ আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার স্বামী ও সতীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১১টায় উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) উপ কমিশনার (পশ্চিম) আব্দুল ওয়ারিশ।

তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বাগেরহাট জেলার মংলা থানার মিঠাখালী গ্রাম এলাকা থেকে মো. সোহাইল আহাম্মেদ (৪০) ও তার দেওয়া তথ্য ভিত্তিতে নগরের পতেঙ্গা থানা এলাকা থেকে নাহিদা আক্তারকে (২২) গ্রেফতার করা হয়। ২০২০ সালের ২১ জুলাই নগরের হালিশহর রহমানবাগ আবাসিক এলাকার একটি বাসার কক্ষ থেকে তালা ভেঙ্গে উদ্ধার করা হয় ২৫ বছর বয়সী তরুণীর মরদেহ। ঐ বাসার কেয়ারটেকার মো. নুর নবী এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মরদেহ উদ্ধার করলেও পুলিশ সেসময় তার পরিচয় জানতে পারেনি। তদন্তে নেমে ১৬ মাসের মাথায় পুলিশ ওই তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করে। জানা যায় তার নাম লাকী আক্তার পিংকী।

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) আব্দুল ওয়ারিশ বলেন, মরদেহ উদ্ধারের চার দিন আগে ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় রহমানবাগ আবাসিকের বাসায় আসেন তৃতীয় স্ত্রী নাহিদা। বিয়ের পর থেকে চতুর্থ স্ত্রী লাকীকে নানা কারণে সন্দেহ করত সোহাইল। ঘটনার দিন লাকীর সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে সোহাইল তাকে মারধর করলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে লাকীর পরনের কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং বিছানার চাদর মুড়িয়ে মরদেহ রান্নাঘরে রেখে পালিয়ে যায়। হত্যাকাণ্ড নাহিদা নিজে দেখলেও কোনো বাধা দেননি। এর আগে সে আরও তিনটি বিয়ে করে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাগেরহাট, তৃতীয় স্ত্রী নাহিদাকে নগরীর পতেঙ্গায় এবং চতুর্থ স্ত্রী লাকীকে হালিশহরে বাসা ভাড়া করে আলাদাভাবে রেখেছিলেন।

ডবলমুরিং জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আরিফ হোসেন বলেন, খুনের পর সোহাইল কিছুদিন নারায়নগঞ্জ, সাভার এবং গাজীপুরে আত্মগোপন করে থাকে। এরপর তিনি বাগেরহাটের মোংলা থানার মিঠাখালীতে দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমার বাসায় অবস্থান নেয়। প্রায় ১৬ মাস ধরে আত্মগোপনে থাকার পর তাকে এবং পতেঙ্গায় অবস্থানকারী তার তৃতীয় স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।