বাংলাদেশকে এ পর্যন্ত দেড় কোটি ডোজ টিকা উপহার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশকে আরো ৩৫ লাখ ডোজ ফাইজার কোভিড-১৯ টিকা অনুদান দিয়েছে। এর ফলে এখন পর্যন্ত আমেরিকান জনগণ বাংলাদেশকে মোট ১ কোটি ৫০ লাখ ডোজ টিকা উপহার দিয়েছে।

বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জানিয়েছেঃ

এই বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন) ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ফাইজার-বায়োটেক

কোভিড-১৯ টিকা অনুমোদন করেছে। মানিকগঞ্জে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারের পর, যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান দেয়া টিকাগুলো বাংলাদেশ সরকারকে ১২-১৭ বছর বয়সী বাংলাদেশীদের টিকাদানে সক্ষম করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে আরো ৩৫ লাখ ডোজ টিকা অনুদান দিতে পেরে আনন্দিত।

এছাড়াও আমরা বাংলাদেশী শত শত স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছি যাতে তারা ফাইজারের এই টিকাগুলো ১২ ও তদুর্ধ্ব বয়সী শিশুদের নিরাপদে দিতে পারে। আমরা আশা করি এই টিকা তরুণবয়সী বাংলাদেশীদের বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা পেতে সহায়তা করবে এবং তারা পরিপূর্ণভাবে তাদের লেখাপড়া ও সামাজিক কর্মকান্ড শুরু করতে পারবে।”

উল্লেখ্য, বাংলাদেশকে দেয়া ফাইজার টিকার এই অনুদান কোভিড-১৯ মোকাবেলার বৈশ্বিক প্রচেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতিশ্রুত ২০২২ সালজুড়ে বিনামূল্যে বিশ্বব্যাপী ১০০ কোটি ডোজ ফাইজার টিকা সরবরাহের অংশ।

টিকা অনুদান দেয়া ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান প্রচারাভিযান এবং মহামারি মোকাবেলায় সরকারের গৃহীত কার্যক্রম জোরদারকরণে বাংলাদেশ সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার ৬,০০০ এরও বেশি বাংলাদেশী স্বাস্থ্যসেবাদানকারী ও স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে যাতে করে তারা নিরাপদে ও দক্ষতার সাথে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়তা করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি, ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে ১২১ মিলিয়ন বা ১০৫২ কোটি টাকারও বেশি কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা দিয়েছে।

এই সহায়তা মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে এবং কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎ‌সা পেতে সহায়তা করেছে, কোভিড-১৯ রোগ পরীক্ষা করার সামর্থ্য ও মনিটরিং জোরদার করেছে, রোগীদের ব্যবস্থাপনা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ দক্ষতা বাড়িয়েছে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উন্নত করেছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা সম্মুখসারির কর্মীদের সুরক্ষা প্রদান করেছে এবং জনসাধারণকে কোভিড-১৯ থেকে নিজেদের রক্ষা করার উপায়সহ সামগ্রিকভাবে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জ্ঞান বাড়িয়েছে।