ওমানকে ২৬ রানে হারাল টাইগাররা

রান তাড়ায় শুরুর বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে ভাবনায় ফেলে দিয়েছিল ওমান। কিন্তু মেহেদি হাসান ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন আঁটসাঁট বোলিংয়ে দেখালেন পথ। শুরুর এলোমেলো বোলিং ভুলে ছন্দে ফিরলেন অন্য বোলাররাও। সবার মিলিত অবদানে শঙ্কা পেছনে ফেলে শেষ পর্যন্ত বড় জয়ই পেল বাংলাদেশ। ওমানকে হারিয়ে বাঁচিয়ে রাখল সুপার টুয়েলভের আশা।

২৬ রানে জয় বাংলাদেশের

চোখ রাঙিয়েছেন যতীন্দর সিং। এর আগে কাশ্যপ প্রজাপতি। ক্যাচ মিস চাপ বাড়িয়েছে আরও। তবে সময়মতো ব্রেক থ্রু দিয়েছেন সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান। আঁটসাঁট বোলিং করেছেন মেহেদী হাসান। শেষ পর্যন্ত ওমান থেমেছে আগে ভাগেই। ২৬ রানের জয়ে সুপার টুয়েলভে যাওয়ার আশা টিকিয়ে রেখেছে মাহমুদউল্লাহর দল।

বাংলাদেশের সংগ্রহটা আহামরি কিছু ছিল না। তবে ১৫৩ রান ওমানের জন্য যথেষ্ট হওয়ারই কথা। কিন্তু ওমানের ইনিংসের শুরুতে সেটিই মনে হচ্ছিল অপর্যাপ্ত। ওপেনার যতীন্দর সিং যতক্ষণ ছিলেন, মনে হচ্ছিল ওমান খুব সহজেই রানটা তাড়া করবে। দুটি ক্যাচ ফেলে বাংলাদেশের ফিল্ডাররাও ওমানের জন্য কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন প্রায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতার সঙ্গে পেরে ওঠেনি ওমানিরা। ম্যাচটা ২৬ রানে জিতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিকে রইল বাংলাদেশ।

 

যতীন্দরের ক্যাচ ফেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে তাঁর তুলে মারা বল তিরিশ গজ বৃত্তের মধ্যে ধরতে পারতেন অনেকেই। কিন্তু অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ কেন এগিয়ে এলেন, সেটি বোঝা যায়নি। সহজ ক্যাচটা কঠিন বানিয়েই ফেলে দেন তিনি। এর আগে কাশ্যপ প্রজাপতির ক্যাচ স্লিপে দাঁড়িয়ে ফেলেছেন মোস্তাফিজ নিজেই। তবে ওমানের এই দুই ব্যাটসম্যানই আজ আসলে বাংলাদেশি বোলারদের পরীক্ষাটা নিয়েছেন। যতীন্দর ৩৩ বলে ৪০ রান করেছেন। মেরেছেন ৪ বাউন্ডারি ও একটি ছয়। প্রজাপতির ইনিংসটি ছিল ১৮ বলে ২১ রানের। এই দুজনকে ফিরিয়েছেন সাকিব ও মোস্তাফিজ। দলের সেরা বোলার মোস্তাফিজ। ৩ ওভার বোলিং করে ২৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। অথচ, মোস্তাফিজের বোলিংয়ের শুরুটা ছিল বেশ বাজে। প্রথম ওভারেই ৫টি ওয়াইড দিয়েছিলেন তিনি। ওমান যে চাপ হয়ে বসেছিল বাংলাদেশের ওপর, সেটি মোস্তাফিজের প্রথম ওভারই প্রমাণ। সাকিব ২৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। গুরুত্বপূর্ণ সময়েই সাকিব বল হাতে হয়ে উঠেছিলেন ত্রাতা।