কোন অপারেটরই ফোরজি’র ঘোষিত নির্ধারিত গতি দিতে পারেনি

কোন অপারেটরই ফোরজি’র ঘোষিত নির্ধারিত গতি দিতে পারেনি।

চার বিভাগের ১৮ জেলায় মোবাইল ফোন অপারেটরদের সেবা পরিমাপ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। সেখানে কমিশন তেমনই ফলাফল পাওয়ার কথা জানিয়েছে।

এর আগে যখন ঢাকা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয় তখন দেখা যায়, ঢাকাতেও কেউ ফোরজি’র ঘোষিত ডাউনলোড গতি সাত এমবিপিএস দিতে পারেনি।

এবার খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় ড্রাইভ টেস্ট পরিচালনা করেছে বিটিআরসি। সেখানে দেখা গেছে, অপারেটররা সবচেয়ে বাজে সেবা দিচ্ছে বরিশালে।

ফোরজি’র জন্যে সর্বনিম্ন সাত এমবিপিএস গতিতে সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে দেখা গেছে, বাংলালিংক ফোরজিতে তিন দশমিক ৫৬ এমবিপিএস স্পিডের ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে।

বাকি দুই অপারেটর গ্রামীণফোনের ফোরজি ইন্টারনেটের গতি ৫ দশমিক ১ এমবিপিএস এবং রবি’র আছে ৪ দশমিক ৮৯ এমবিপিএস গতি।

রাষ্ট্রায়াত্ত্ব অপারেটর টেলিটক যেহেতু ঢাকার বাইরে এখনো ফোরজি নিয়ে যেতে পারেনি, তাই ড্রাইভ টেস্টের এই অংশটিতে তারা হিসাবের মধ্যে আসেনি।

থ্রিজি’র নির্ধারিত দুই এমবিপিএস ডাইনলোড স্পিড অন্য অপারেটরগুলো নিশ্চিত করলেও কোনো বিভাগেই টেলিটক আবার সেটি দিতে পারেনি।

অপরদিকে ভয়েস কলের মানের প্রশ্নে আসলে দেখা যাচ্ছে, বিটিআরসি নির্ধারিত কল ড্রপ দুই শতাংশ হলেও এই বিভাগে টোলিটকের কল ড্রপ আছে সাত দশমিক ৯২ শতাংশ। তাদের কল ড্রপ রেট রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগে আছে নির্ধারিত সীমার বাইরে।

চারটি অপারেটরের প্রতিটিই কল সেটআপের জন্যে বিটিআরসি নির্ধারিত যে সাত সেকেন্ডের সময় বেঁধে দেওয়া আছে, তা কেউই মানতে পারেনি।

আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে অপারেটররা ব্যর্থতার পরিচয় দিলেও কাভারেজের বিবেচনায় সব অপারেটর সব বিভাগেই বেশ ভালো আবস্থানে আছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি’র ড্রাইভ টেস্ট।