যুক্তরাজ্যের কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্রে রক্ত দিতে পারেন না কেন?

স্বেচ্ছায় সেবামূলক কাজগুলোর মধ্যে রক্তদানকে অনেকেই দায়িত্ব মনে করেন। কারণ, এক ব্যাগ রক্ত একটি জীবন বাঁচাতে পারে। আর সে জন্যই ফেসবুকে ‘রক্ত প্রয়োজন’ শিরোনামে পোস্ট দেখলেই কেউ কেউ পুরোদস্তুর ঝাঁপিয়ে পড়েন। এখন এ রকম একজনকে রক্তদানের আগে যদি বলা হয়, আপনি রক্ত দিতে পারবেন না। এ কথা শোনার পর স্বাভাবিকভাবেই তিনি জানতে চাইবেন, কেন তিনি রক্তদানে অযোগ্য। মনে মনে হয়তো ভাববেন, তাহলে কি আমার শরীরে কোনো রোগ বাসা বেঁধেছে? এমনকি রক্ত না দিতে পারায় অপরাধবোধও কাজ করতে পারে। দেখা গেল ব্লাড ব্যাংক বলছে, আপনি নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় ছিলেন বিধায় আপনার রক্ত আমরা নিতে পারছি না।ঠিক এমনটাই ঘটেছে যুক্তরাজ্যে কিছু সময়ের জন্য অবস্থানকারী মানুষদের ক্ষেত্রে। ১৯৮০ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে ছয় মাস বা তার অধিক সময় যুক্তরাজ্যে অবস্থান করেছেন, এমন ব্যক্তিদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) রক্তদানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বেশ আগে। এর মূলে আছে গবাদিপশুর একটি রোগ। রোগটি বেশি দেখা যায় গরুর মধ্যে, যা মানুষের মধ্যেও ছড়িয়েছিল। মানুষের শরীরে রোগটি দেখা দিলে এর নাম রাখা হয় ‘বোভাইন স্পঞ্জিফর্ম এনসেফ্যালোপ্যাথি’। এটি ‘ক্রুয়েটজফেল্ট জ্যাকব’ রোগের একটি ধরন হিসেবেও পরিচিত, যাকে সংক্ষেপে ‘ভিসিজেডি’ বলা হয়। এটি ‘ম্যাড কাউ’ রোগ হিসেবেও পরিচিত।