দূতাবাসকর্মীদের উদ্ধারে আফগানিস্তানে সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন

দূতাবাসকর্মীদের উদ্ধারে আফগানিস্তানে সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন। পেন্টাগন থেকে বলা হয়েছে, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত প্রায় ৩০০০ সেনা পাঠাবে। অন্যদিকে বৃটেন পাঠাবে ৬০০ সেনা। দূতাবাসকর্মীদের উদ্ধারের পাশাপাশি তারা আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণির সরকারের পাশে দাঁড়াবে। ওদিকে আফগানিস্তানে শান্তি আলোচনা ত্বরান্বিত করার আহবান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক দূতরা। এরই মধ্যে তালেবানরা গুরুত্বপূর্ণ কান্দাহার ও হেরাত দখল করে নেয়ার দাবি করেছে। এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের বৃহৎ এ দুটি শহর দখল করে নেয়ার দাবি করেছে তালেবানরা।

এমন অবস্থায় অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর প্রত্যয় ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন। অন্যদিকে যদি আশরাফ গণি সরকারের পতন হয় বা তার সেনারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়, তাহলে আফগানিস্তানে যৌথ সামরিক হস্তক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন ও রাশিয়া। এরই মধ্যে এমন মহড়ায় অংশ নিয়েছেন ১০ হাজার সেনা। দেশ দুটি অর্থনৈতিক খাতে একে অপরের বিরোধী হলেও মধ্য এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় তারা একজোট হয়েছে। এতে অন্যদের সঙ্গী করার কথা জানা গেছে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর ফলে আফগানিস্তানে আবার এক জগাখিচুড়ি অবস্থা হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন ও রাশিয়া। এতে আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে দেখা দিতে পারে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা।
যুক্তরাষ্ট্রের পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বৃহস্পতিবার কথা বলেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণির সঙ্গে। তারা তাকে জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় এখনও যুক্ত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা আরো জানিয়েছেন, দেশটিতে রাজনৈতিক সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, আফগানিস্তানে দূতাবাস এখনও বন্ধ হয়নি। আগামী কয়েক সপ্তাহে আফগানিস্তানে মৌলিক কূটনৈতিক উপস্থিতি বজায় রাখার প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ের সঙ্গে জানেন এমন একজন বলেছেন, আফগানিস্তানে মার্কিন দূতাবাস খোলা রাখার কোন নিশ্চয়তা নেই। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টায় যেসব আফগান সহায়তা করবেন, তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে স্পেশাল ইমিগ্রেশন ভিসা ফ্লাইট বৃদ্ধি করা হবে।
অন্যদিকে বৃটেন বলেছে, তারা নিজেদের নাগরিক এবং স্থানীয় দোভাষীদের উদ্ধার করতে আফগানিস্তানে মোতায়েন করবে প্রায় ৬০০ সেনা। জাতিসংঘ সতর্কতা দিয়েছে। তারা বলেছে, তালেবানরা রাজধানী কাবুলে পৌঁছালে বেসামরিক লোকজনের ওপর এক ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। এমন সতর্কতার মুখে নিজেদের সব নাগরিককে অবিলম্বে আফগানিস্তান ত্যাগ করার আহবান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি।