সাপে কাটা রোগীর রক্ত পরীক্ষা করে জানা যাবে বিষের ধরণ

সাপ কামড়ালে অনেক সময়েই আক্রান্ত ব্যক্তি কোন সাপ তা বলতে পারেন না। বিশেষত কালাচ সাপ কামড়ালে অনেক সময়ে জ্বালা-যন্ত্রণাটুকুও হয় না।

পেপার স্ট্রিপে সাপে কাটা রোগীর এক ফোঁটা রক্ত। ব্যস, জানায় এদের যাবে বিষের ধরণ। ফলে চিকিত্সা হবে আরও সঠিক ও দ্রুত। এই যুগান্তকারী টেস্ট কিটের আবিষ্কারের নেপথ্যে ভারতীয় গবেষ ননকদের একটি টিম। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দুই বাঙালিও- বন্ধন চট্টোপাধ্যায় এবং বিশাল সাঁতরা। সংবাদ প্রতিদিনে প্রকাশিত হয়েছে এই এই রিপোর্ট।

সাপ কামড়ালে অনেক সময়েই আক্রান্ত ব্যক্তি কোন সাপ তা বলতে পারেন না। বিশেষত কালাচ সাপ কামড়ালে অনেক সময়ে জ্বালা-যন্ত্রণাটুকুও হয় না। বোঝাই যায় না সাপে কামড়েছে।

কয়েক ঘণ্টা বাদে শুরু হয় উপসর্গ। কথা জড়িয়ে যায়, চোখ ঢুলুঢুলু হতে শুরু করে। কারও কারও পেটে ব্যাথা হয়। এদিকে রোগী নিজেই সাপে কামড়েছে না জানায় বোঝাই যায় না কী হয়েছে। কালাচের ছোবল বুঝতে বুঝতে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। বাংলাদেশ ও ভারতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু যে ৪টি সাপের কামড় থেকে হয়, তার মধ্যে এটি অন্যতম।

এই সমস্যারই সুরাহা করলেন গবেষকরা। সিস্টেম্যাটিক ইভোল্যুশন অফ লিগান্ডস বাই এক্সপোনেন্সিয়াল এনরিচমেন্ট (সেলেক্স) প্রযুক্তির মাধ্যমে এবার রক্ত পরীক্ষার দ্বারা যাচাইয়ের উপায় আবিষ্কার করলেন তাঁরা।

গবেষণার জন্য ভারতের পাঁচটি অঞ্চলের কালাচের বিষ সংগ্রহ করা হয়। টানা দু’বছর ধরে চলে গবেষণা। গবেষণার রিপোর্ট ‘বায়োসেন্সরস অ্যান্ড বায়ো ইলেকট্রনিক্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, আপাতত এই পদ্ধতিতে নির্ণয় করতে ২ ঘণ্টা সময় লাগছে। তবে এটা কমিয়ে ২ মিনিটে আনা যাবে বলে তাঁরা আশাবাদী। এর খরচও যত্সামান্য হবে বলে জানান তাঁরা।