জাপানে জারি হলো ‘স্টেট অব ইমার্জেন্সি’

দরজায় কড়া নাড়ছে অলিম্পিক , এদিকে এখনও কমছে না করোনার প্রকোপ। এই পরিস্থিতিতে ‘স্টেট অব ইমার্জেন্সি’ বা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলো জাপান সরকার। ফলে এই জরুরি অবস্থার মধ্যেই ঐতিহ্যশালী অলিম্পিক আয়োজিত হতে চলেছে টোকিওতে। এই সময় জরুরি অবস্থা ঘোষণার অর্থ, গোটা অলিম্পিক জুড়েই একাধিক বিধিনিষেধ জারি থাকবে। আজই জাপানে পা রাখতে চলেছেন আইওসি সভাপতি টমাস বাখ। তাঁকেও তিনদিন জাপানের একটি পাঁচ তারা হোটেলে আইসোলেশনে থাকতে হবে। কয়েকদিন আগেও স্টেডিয়ামে নির্দিষ্ট সংখ্যক দর্শকের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও, মনে করা হচ্ছে এই পরিস্থিতিতে এবার সেই নির্দেশও বাতিল করা হবে। সূত্রের খবর, আগামী শুক্রবার এই নিয়ে বৈঠকে বসতে পারেন অলিম্পিক আয়োজক কমিটি এবং জাপান প্রশাসন। তবে পরিস্থিতি যাই হোক, সুষ্ঠু ভাবে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদী আয়োজকরা।

প্রসঙ্গত, এর আগে অলিম্পিক আয়োজক কমিটি জানিয়েছিল, জাপানের স্টেডিয়ামগুলিতে মোট দর্শকাসনের ৫০ শতাংশকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে সবমিলিয়ে ১০ হাজার জন দর্শকই খেলা দেখতে স্টেডিয়ামের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন। তার বেশি কোনওভাবে নয়।করোনার কারণে গত বছর স্থগিত রাখা হয়েছিল টোকিও অলিম্পিক । কিন্তু এই বছরও কমেনি মারণ ভাইরাসের প্রকোপ। ফলে অনেক আগেই বিদেশি পর্যটকদের জাপানে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। তবে নির্দিষ্ট সংখ্যক জাপানি দর্শকদের স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিলেন আয়োজকরা। কিন্তু বর্তমানে ফের একবার সংক্রমণ বাড়ছে টোকি-সহ একাধিক শহরে। আর এই কারণে জরুরি অবস্থার কথা ঘোষণা করলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইওশিহিদে সুগা। এটি কার্যকর হবে আগামী সোমবার থেকে। চলবে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত। আগামী দিনে জাপানে যাতে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায় সেকারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী । টোকিওতে বুধবার ৯২০ টি নতুন সংক্রমণের খবর সামনে এসেছে ,গত বুধবার সংখ্যাটা ছিল ৭১৪। দেশজুড়ে জাপানে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় ৮ লক্ষ ১০ হাজার, মৃত্যু হয়েছে ১৪,৯০০. জাপানিদের মধ্যে কেবল ১৫% মানুষ টিকার দুটি করে ডোজ পেয়েছেন।