চট্টগ্রামে হত্যা মামলার আসামি কুলসুমা আক্তারের হয়ে প্রায় তিনবছর জেল খেটে সদ্য কারামুক্ত মিনু আক্তার সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তবে পরিচয় না পাওয়ায় ময়নাতদন্ত শেষে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম অজ্ঞাত লাশ হিসেবে তাকে দাফন করে। পরে তদন্ত শেষে জানা যায়, এটি সেই আলোচিত মিনু আক্তার।
শনিবার (৩ জুলাই) রাতে নগরীর বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ২৮শে জুন রাতে বায়েজিদ লিংক রোডে আমরা গাড়ির ধাক্কায় নিহত এক অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার করি। হাসপাতালে পাঠালে তার ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম অজ্ঞাত লাশ হিসেবে দাফন করে।
তিনি আরও বলেন, অজ্ঞাত লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে আমরা আইনি সব পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। শনিবার আমাদের টিম সীতাকুণ্ডে গিয়ে ছবি দেখালে তার আপন ভাই রুবেল ছবি দেখে মিনুকে শনাক্ত করেন। এক প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, ঘটনার রাতে টহল পুলিশ মিনুকে দুই বার সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। রাস্তায় তিনি লাফিয়ে লাফিয়ে মাতম করছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের নভেম্বরে কহিনূর আক্তার নামে এক নারীকে হত্যার ঘটনায় গার্মেন্ট কর্মী কুলসুম আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।
তবে এই ঘটনায় সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তারের পরিবর্তে মানসিক ভারসাম্যহীন মিনু আক্তার ২০১৮ সালের ১২ই জুন কারাগারে যান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে গোলাম মওলা মুরাদ নামে এক আইনজীবীর মাধ্যমে সেটি আদালতের নজরে আনা হয়। পরে বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়া শেষে ১৬ জুন সে কারামুক্ত হয়।











