বহুল প্রতীক্ষিত উইন্ডোজ ১১

অবশেষে দেখা দিলো বহুল প্রতীক্ষিত উইন্ডোজ ১১। ২৪ জুন রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে অবমুক্ত হলো বিশ্বের নাম্বার ওয়ান সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের অপারেটিং সিস্টেমের নতুন এই সংস্করণ।

উইন্ডোজ ১১-এর ডিজাইন ও ইন্টারফেসে বড়সড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগের চেয়েও বেশি ব্যবহারবান্ধব করতে অনেক কিছুতেই মানোন্নয়ন করা হয়েছে। উইন্ডোজে ডার্ক এবং লাইট মোড যুক্ত করার বিষয়টি ব্যবহারকারীদের জন্য সারপ্রাইজ গিফটের মতোই অনেকটা।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে স্মার্টফোনের ওএসের ইন্টারফেস, ফেইসবুকের ইন্টারফেসসহ বেশ কিছু ডিজিটাল সেবায় চোখ সহনীয় ডার্ক মোড ও স্বাভাবিক লাইট মোড চালু হয়েছে। উইন্ডোজও জনপ্রিয় এই অপশনটি রাখতে ভুল করেনি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইকন ও অপশন দেখলে স্মার্টফোনের ইন্টারফেসের মতো মনে হবে।

কম্পিউটার চালু্র পরপরই যে পরিবর্তনটি চোখে পড়বে, সেটি হলো ‘স্টার্ট মেনু’। উইন্ডোজ ১১-এর ‘স্টার্ট’ বাটনটি আগের সব উইন্ডোজের মতো টাস্কবারের বাঁ দিকে নয়, মাঝামাঝিতে। প্রথম প্রথম একটু অস্বাভাবিক মনে হলেও অভ্যস্ত হয়ে গেলে এটাকেই আগের চাইতে ব্যবহারবান্ধব মনে হবে। আর যারা ম্যাক ব্যবহার করেন বা করেছেন, তাদের কাছে খুব স্বাভাবিক মনে হবে ব্যাপারটি। কারণ এই অংশের লুকে ম্যাক ওএসকে অনুসরণ করা হয়েছে বলা যায়!

গেইমারদেরও নিরাশ করেনি মাইক্রোসফট। অটো এইচডিআর ফিচারটির মাধ্যমে আরো উন্নত গ্রাফিকসের অভিজ্ঞতা পাবেন গেইমাররা। এছাড়াও স্টোরে রয়েছে কয়েকশ গেইমের সংগ্রহশালা, যদিও অনেক গেইমের পেছনে খরচা করতে হবে।