নেপাল থেকে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনতে আগামী মাসে চূড়ান্ত চুক্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
রোববার (২৭ জুন) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপালের সঙ্গে চুক্তি করতে আমাদের নেগোশিয়েশন ফাইনাল হয়ে গেছে। কনসালট্যান্ট নিয়োগ হয়ে গেছে। এই মাসের মধ্যে তাদের রিপোর্ট হয়তো আমরা পেয়ে যাবো। আগামী মাসের মধ্যে আমরা ফাইনাল চুক্তিতে চলে যাবো। আমরা আশা করছি, আগামী মাসেই নেপালের চুক্তিটি ফাইনাল করা হবে।
নেপালের বিদ্যুতের খরচ কত হবে? এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখনও ফাইনালটা আমার কাছে আসেনি, তাই আমি বলতে পারতেছি না। নেপাল থেকে মোট ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হবে।
তিনি বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ জ্বালানি নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির মধ্যে সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টের দাম এখনও সহনীয় পর্যায়ে আসেনি। প্রচুর জায়গা লাগে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচও বেশি। এই সেক্টরে নতুন প্রযুক্তি কিভাবে বাড়ানো যায় আমরা সেই চেষ্টা করছি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের ট্রান্সমিশন কোম্পানি জিএমআর ট্রান্সমিশন লাইন করে আমাদের বিদ্যুৎ দেবে। এতে সুবিধা হল আমাদের বিদ্যুতের লাইনটা হয়ে গেল। ভবিষ্যতে এই লাইন দিয়ে আমরা আরও বিদ্যুৎ আনতে পারব। আমরা চেষ্টা করছি ড্রাই সিজনে আমাদের বিদ্যুৎ ওদের ওখানে আমরা রফতানি করতে পারব।
সময়মতো উৎপাদনে না আসায় কয়লাভিত্তিক ১০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রোববার (২৭ জুন) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যেগুলো সময়মতো উৎপাদনে আসতে পারেনি সেগুলো বাদ দেওয়ার।
বাতিল করা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হলো- পটুয়াখালী ২×৬৬০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, উত্তরবঙ্গ ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট সুপার থারমাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, মাওয়া ৫২২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা ২৮২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, চট্টগ্রাম ২৮২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প।
এছাড়া খুলনা ৫৬৫ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহেশখালী ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহেশখালী ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ৭০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সিপিজিসিবিএল-সুমিতোমো ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প।
নসরুল হামিদ বলেন, কোভিডের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির ক্ষেত্রে নতুন চিন্তা-ভাবনা এসেছে। নতুন টেকনোলজির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে হবে। সেক্ষেত্রে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ তারা সময়মতো উৎপাদনে আসতে পারেনি।









