অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে শোক

অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে সিআইইউ উপাচার্যের শোক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউ) উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী।

শনিবার (২৬ জুন) শোক বার্তায় সিআইইউর উপাচার্য বলেন, একজন খ্যাতিমান শিক্ষাবিদের মৃত্যুতে দেশের উচ্চশিক্ষায় যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা কখনোই পূরণ হওয়ার নয়।

শিক্ষার পাশাপাশি প্রশাসনিক ক্ষেত্রে তাঁর সময়োপযোগী পদক্ষেপ, সততা ও নিষ্ঠার কারণে ছাত্র-শিক্ষক সব শ্রেণির মানুষের কাছে তিনি উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থাকবেন।

অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী একজন সজ্জন, মার্জিত রুচির অধিকারী ও সদালাপী মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সিআইইউ উপাচার্য তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
গত ২৪ জুন সন্ধ্যায় নগরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। ১৯৮৫-১৯৮৮ মেয়াদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন এই প্রথিতযশা শিক্ষক। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি। দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন বরেণ্য এই শিক্ষাবিদ। একজন কৃতি অনুবাদক হিসেবেও পাঠকমহলে তাঁর সুনাম রয়েছে।

চবির প্রাক্তন উপাচার্য ড. আলীর মৃত্যুতে ইডিইউর শোক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান, প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান এবং উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান।

এক শোকবার্তায় আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় এ প্রথিতযশা অধ্যাপকের অবদান অনস্বীকার্য।

প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় দক্ষ নেতৃত্ব গুণের পরিচয় রেখেছেন এই শিক্ষাবিদ। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশের উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। দেশ ও জাতি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করবে এ অধ্যাপককে। তার মৃত্যুতে দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবার নয়।
অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত চবির উপাচার্য ছিলেন। ১৯৯০-১৯৯৪ মেয়াদে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও চবি ইংরেজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদেরও ডিন ছিলেন। এছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েরও উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।