শামসুল ও মুসলিম আজীবনই বিএনপির জন্য নিবেদিত থেকেছেন

শামসুল হকের মাগফেরাত কামনায় কোতোয়ালি থানা বিএনপির দোয়া মাহফিলে ডা. শাহাদাত হোসেন

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা মরহুম শামসুল হক ও কোতোয়ালি থানা বিএনপির সহ সভাপতি মো. মুসলিম মিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনায় মঙ্গলবার (২২ জুন) বাদে আসর নগরীর এনায়েত বাজার শাহী জামে মসজিদে কোতোয়ালি থানা বিএনপির দোয়া ও মিলাদ মহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

দোয়া মাহফিলে মরহুম শামসুল হক ও মুসলিম মিয়ার আত্বার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু ও রোগমুক্তি কামনা এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ মৃত্যুবরণকারী নেতাকর্মীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহী জামে মনজিদের খতিব মাওলানা মো. মোজাফ্ফর।

এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মরহুম শামসুল হক ও মুসলিম মিয়া ছাত্রজীবন থেকে শহীদ জিয়ার আদর্শ ও বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়ে দলের সাংগঠনিক তৎপরতায় নিজেদের সম্পৃক্ত রেখেছিলেন। এজন্য তারা দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিকট ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়। এই দুই নেতার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাদের সংগ্রামী ভূমিকার জন্য তারা দলের নেতাকর্মী ও চট্টগ্রামবাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি মরহুমদ্বয়ের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, শামসুল হক ও মুসলিম মিয়া যুবদলকে সুসংগঠিত করে দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারা দুজনই ছিলেন ত্যাগী, সৎ, সাহসী ও নিবেদিত প্রাণ নেতা। তাদের মৃত্যু আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনার। তাদের মৃত্যুতে যে শূণ্যতার সৃষ্টি হবে তা সহজে পূরন হবার নয়। দলের প্রতি তাদের অবদান বিএনপি আজীবন স্বরণে রাখবে।

দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, শামসুল হক একজন ত্যাগী ও মেধাবী রাজনীতিবিদ। শহীদ জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপোষহীন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিএনপি ও চট্টগ্রামের যুবদলকে সংগঠিত করার জন্য তিনি কাজ করেছেন। তার আদর্শ থেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

দোয়া মাহফিলে অংশ নেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, নগর বিএনপির সদস্য হারুন জামান, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মহানগর, থানা, ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে সাবেক কাউন্সিলর এম এ মালেক, হাজী নুরুল হক, মো, মহসিন, আবদুল হালিম স্বপন, ইদ্রিস আলী, সালাউদ্দীন লাতু, ইউছুপ শিকদার, আলমগীর আলী, ফরিদ উদ্দীন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস এম মুফিজ উল্লাহ, আলী আব্বাস খান, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, সৈয়দ আবুল বশর, জসিম মিয়া, নগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সি. যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, বিএনপিনেতা আমিনুর রহমান মিয়া, হাফিজুল ইসলাম মিলন, নিজাম উদ্দীন, আবুল কালাম (১), আবুল কালাম (২), মো. সেলিম, জালাল উদ্দীন, সিন্টু মিয়া, দিদারুল আলম, মাহবুব রানা, আবু তৈয়ব, দিদারুল আলম, আবু নাসের সাজ্জাদ, মুছা আলম, আসাদুর রহমান টিপু, মো. আলাউদ্দিন, মো. সালাউদ্দিন, মো. নওশাদ, যুবরাজ, মো. শাহজাহান, মো. হাসান, আবদুল্লাহ আল মামুন, আবদুল মোতালেব, এন মো. রিমন, মাঈনুদ্দীন খান রাজিব, জাহিদুল হক সোহেল, ইয়াকুব আলী জুয়েল, কুতুব উদ্দিন মুন্না প্রমুখ।