৩০ জুনের মধ্যে চালু আন অফিসিয়াল মোবাইল ১ জুলাই বন্ধ হবে না

৩০ জুনের মধ্যে চালু আন অফিসিয়াল মোবাইল ১ জুলাই বন্ধ করছে না বিটিআরসি। আজ বিটিআরসির ফেসবুক পেইজে এ সংক্রান্ত একটি পোষ্ট দেয়া হয়েছে।

যা হুবুহু তুলে ধরা হলো বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত গ্রাহকের হ্যান্ডসেটসমূহ ৩০ জুন ২০২১ এর মধ্যে বিটিআরসির সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। ফলে ১লা জুলাই হতে এ সেটগুলো বন্ধ হবে না। তাই সবাইকে এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করা হলো। বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত গ্রাহকের হ্যান্ডসেটসমূহ ৩০ জুন ২০২১ এর মধ্যে বিটিআরসির সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। ফলে ১লা জুলাই হতে এ সেটগুলো বন্ধ হবে না। তাই সবাইকে এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করা হলো।

বিটিআরসি মুঠোফোন বৈধ না অবৈধ, তা যাচাই করতে এনইআইআর নামের এ ব্যবস্থা চালু ও পরিচালনার জন্য দরপত্র আহ্বান করে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে। প্রযুক্তিগত সমাধান পেতে সংস্থাটি সিনেসিস আইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গত নভেম্বরে চুক্তি করে।

এনইআইআর ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে বৈধভাবে আমদানি ও উৎপাদিত মুঠোফোনের তথ্যভান্ডারের সঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্কে চালু হওয়া ফোনের আইএমইআই (মুঠোফোন শনাক্তকরণ নম্বর) মিলিয়ে দেখা হবে। অবৈধ, চুরি যাওয়া ও নকল মুঠোফোন দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে চালু করা যাবে না।

আমরা ব্যবস্থাটি চালু করব এমনভাবে যাতে গ্রাহকের ওপর চাপ না পড়ে- শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিটিআরসির চেয়ারম্যান

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, দেশে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ স্মার্টফোন অবৈধভাবে আমদানি করা হয়। এ কারণে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারায় সরকার।
বাংলাদেশ মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সাধারণ মানুষ জানে না কোনটা বৈধ, কোনটা অবৈধ ফোন, কীভাবে যাচাই করতে হয়। এ বিষয়ে বিটিআরসিকে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। তিনি বলেন, একটি মুঠোফোন আমদানিতে ৫৭ শতাংশ কর দিতে হয়। দেশে উৎপাদিত হলেও মুঠোফোনের দাম তেমন একটা কমেনি। এ কারণে মোট গ্রাহকের মাত্র ৪০ শতাংশ এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারে। মুঠোফোন সেটের দাম যাতে মানুষের নাগালে আনা যায়, সেটা নিয়েও সরকারকে কাজ করতে হবে।

মুঠোফোন অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএ গত মার্চে ‘মোবাইলনির্ভর ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী ৪১ শতাংশের মুঠোয় আছে স্মার্টফোন। এ হার ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, এমনকি নেপালের চেয়েও কম। বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকার কারণ স্মার্টফোনে উচ্চ হারে কর।