নুসরাতের হট, বোল্ড ছবি নেটদুনিয়ায় হইচই

স্রেফ কাঁছুলি পরা নুসরাত জাহানের হট, বোল্ড ছবি নেটদুনিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছে। যদিও নুসরাত দাবি করেছেন, ওই পোশাকটি তার অফ শোল্ডার একটি ড্রেস, কিন্তু নেটিজেনরা এর মধ্যে অন্তর্বাসের ইশারাই দেখছেন। তৃণমূল সাংসদের আর একটি পোস্টে অবশ্য তারা নুসরাতের নতুন জীবনের ইঙ্গিতও দেখছেন। এই সাম্প্রতিকতম পোস্টে নুসরাত লিখেছেন, এক ভালোবাসায় হৃদয় ভাঙে, অন্য ভালোবাসা সব ফিরিয়ে দেয়। এই দ্বিতীয় ভালোবাসা অভিনেতা যশ দাসগুপ্তর বলেই মনে করা হচ্ছে। গত বছর এনা সাহার এস ও এস কলকাতা ছবিতে নুসরাতের নায়ক ছিলেন যশ। তখনই তাঁদের প্রেমের উন্মেষ। তাঁর শিল্পপতি স্বামীর বাড়িতে তখন হাঁফিয়ে উঠেছেন নুসরাত।
লন্ডন এর ওয়ারউইক থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে স্নাতক, পারিবারিক ব্যবসা রঙ্গলির সিইও, ৩২ বছরের নিখিল এবং নুসরাতের মানসিক গঠন ভিন্ন রকমের। নিখিল উদার হয়েও আদতে রক্ষণশীল। আর নুসরাত মুক্তমনা। সারাদিনের পরিশ্রমের পর নিখিলের ভালো লাগে বিছানায় শুয়ে বিঠোভেন শুনতে। নুসরাতের মন তখন আকুলি বিকুলি করে রাতের পার্টির জন্য। আদতে রক্ষণশীল মোহন ও শকুন্তলা জৈন চাননি ছেলে এক চিত্রতারকাকে বিয়ে করুক। কিন্তু ২০১৮ থেকে ডেটিং, নৈশ অভিযানের পর নিখিল ২০১৯ সালের ১৯শে জুন যখন তুরস্কে নুসরাতকে বিয়ে করেন তখন তারা আর আপত্তি করেনি। বিয়ে হয়ে যাওয়া দিদি কীর্তি বেরিওয়াল এরও এই বিয়েতে আপত্তি ছিল। কিন্তু, দুই প্ৰেম পাগল হৃদয় কোনো বাধা মানেনি। বিয়ের দেড়বছরের মধ্যে হাঁফিয়ে উঠলেন নুসরাত। পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন আগেই। তার বিয়ের কলকাতার রিসেপশনে যোগ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নির্বাচনে জিতে এমপি হয়েছেন। নুসরাত এর বহিরম্মুখীনতা তখন ফাটলের সৃষ্টি করেছে। শকুন্তলা মেনে নিতে পারছেন না পুত্রবধূর মানসিকতা। দুয়ের যাতাকলে পড়ে জর্জরিত নিখিল। ঠিক এই সন্ধিক্ষণে যশ দাসগুপ্ত এলেন নুসরাতের জীবনে। এস ও এস কলকাতার নায়কের সঙ্গে অন্তরঙ্গতা বাড়লো নুসরাতের। একসঙ্গে কফি পান, নাইট আউট শুরু হল। একদিন সামান্য একটা বিবাদের জেরে নিউ আলিপুরের শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নুসরাত চলে এলেন বাল্লিগঞ্জ এ নিজেদের পৈতৃক ফ্ল্যাটে। ছোটবোন নুযাত কানাডায় উচ্চ শিক্ষা নিতে যাওয়ার আগে বহু চেষ্টা করেছিলেন ফাটল মেরামতের, হয়নি। নিখিল উত্তরভারতে লং ড্রাইভ এ গিয়ে দিদি কীর্তির কাছে স্বীকার করলেন, জীবনের অঙ্ক মেলাতে ভুল হয়ে গেছে। যশরত তখন কখনও আউটিংয়ে, কখনও পার্টিতে। একজন তৃণমূলের সাংসদ, অন্যজন বিজেপির বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী। কিন্তু, প্ৰেম কবে বাধার প্রাচীরে আটকেছে? নুসরাতের সাম্প্রতিক পোস্ট এ ইঙ্গিত দুজনের এক হওয়ার। সত্যিই কি এক ভালোবাসা ভাঙে, অন্যটা গড়ে!