চাচার মামলায় ভাতিজা কারাগারে

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর সর্তা এলাকার মুক্তিযোদ্বা জহুরুল ইসলাম সিদ্দিকির দায়ের করা মামলায় তার আন ভতিজা নাসির উদ্দিন সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করে রাউজান থানা পুলিশ জেল হাজতে প্রেরন করেছে । পুলিশ কতৃক গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে যাওয়া নাসির উদ্দিন সিদ্দিকির মাতা নুর বানু অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলেকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন আমার দেবর মুক্তিযোদ্বা জহুরুল ইসলাম সিদ্দিকী । নুর বানু অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী নুরুল ইসলামের মালিকানাধীন চট্টগ্রাম নগরীর ষ্টেশন রোডে হোটেল মাট্রিন দখল করে নিয়েছে জহুরুল ইসলাম সিদ্দিকী । এ ব্যাপারে হাইকোট থেকে আমার পক্ষে রায় পাওয়ার পর নগরীর কোতয়ালী থানা পুলিশ হোটেল মাট্রিন আমাদেরকে বুঝয়ে দিলে ও পরে জহুরুল ইসলাম সিদ্দিকিী পুনারায় দখল করে নেয়। হোটেল মাট্রিন নিয়ে বিরোধের জের ধরে বাড়ীর গেইটে তালা লাগিয়ে দেয় জহুরুল ইসলাম সিদ্দিকী। আমি অসুস্থ হলে ঘর থেকে আমাকে যানবাহন করে নিয়ে যেতে ব্যথ হওয়ায় আমার ছেলে গেইটের তালা ভেঙ্গে আমাকে মুমূর্ষ অবস্থায় গাড়ীতে করে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যায় । আমি বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরে চিকিৎসাধীন রয়েছি । এঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার পুত্র নাসির উদ্দিন সিদ্দিকী, নাঈম উদ্দিন সিদ্দিকীকে আসামী করে আমার দেবর মুক্তিযোদ্বা জহুরুল ইসলাম সিদ্দিকী রাউজান থানায় চাদাবাজীর মামলা করে। মামলা করার পর জহুরুল ইসলাম সিদ্দিকী নিজেই পুলিশের সাথে এসে আমার পুত্র নাসির উদ্দিন সিদ্দিকী (৪৪) কে পুলিশের হাতে তুলে দেয় । পুলিশ আমার ছেলে নাসির উদ্দিন সিদ্দিকীকে চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে প্রেরন করেন । এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্বা জহুরুল ইসলাম সিদ্দিকীকে ফোন করে জানতে চাইলে, মুক্তিযোদ্বা জহুরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, আমার কাছ থেখে আমার ভতিজা নাসির উদ্দিন সিদ্দিকী ২লাখ টাকা চাদাঁ দাবী করে । আমার বাড়ীতে থাকাবস্থায় নাসির উদ্দিন সিদ্কিীকে আমার কাছে টাকা নেই বলে বাড়ীর সীমানা প্রাচীরের তোরনের তালা লাগিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে বাসায় চলে আসলে নাসির উদ্দিন সিদ্দিকী তার কয়েকজন সহযোগিদের নিয়ে গেইটের তালা ভেঙ্গে ফেলে। ঘরের দরজার তালা ও গাড়ীর গ্যারেজের তালা ভেঙ্গে ঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে যায় । নিরুপায় হয়ে আমি রাউজান থানায় মামলা করি । মামলা করার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন । মুক্তিযোদ্বা জহুরুল ইসলাম সিদ্দিকী অভিয়োগ করে আরো বলেন, আমার ভাতিজা নাসির উদ্দিন সিদ্দিকী একজন মাদক সেবী। এলাকার কয়েকজন মাদকসেবীদেরকে নিয়ে আমার ঘরের ২ য় তলায় প্রতিদিন রাতে মাদক সেবন করে। নাসির উদ্দিন সিদ্দিকী মাদক সেবন করায় আমার ভাই নুরুল ইসলাম ও তাকে চট্টগ্রাম নগীর কোতয়ালী থানায় ধরিয়ে দিয়েছিলো । এ ব্যাপারে রাউজান থানার ওসি আবদুল্ল্র্যাহ আল হারুনের কাছে জানতে চাইলে , রাউজান থানার ওসি আবদুল্ল্রাহ আল হারুন বলেন, মুক্তিযোদ্বা জহুরুল ইসলাম সিদ্দিকীর দায়ের করা চাদাঁবাজীর মামলায় তার ভাতিজা নাসির উদ্দিন সিদ্দিকীকে গত ৩০ মে রবিবার গ্রেফতার করে। গত ৩১ মে সোমবার তাকে পুলিশ আদালতে সোর্পদ করে। আদালত তাকে চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন ।