শহীদ জিয়ার আদর্শ, দেশপ্রেম, সততা ও কর্মনিষ্ঠা আজ জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রেরণার উৎস

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, শহীদ
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান।
বাংলাদেশের জন্ম, বিকাশ এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও স্বনির্ভরতা অর্জন
এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিটি ধাপের সাথে জড়িয়ে আছে তাঁর নাম। জাতির
এক গুরুতর ক্রান্তিকালে ১৯৭১ সালে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে দেয়া তার
ঘোষণার মাধ্যমে এ দেশের দিশেহারা মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুধু
ঘোষণা দিয়েই তিনি ক্ষান্ত হলেন না, তিনি যুদ্ধে অবতীর্ণ হলেন, ফোর্স
সংগঠিত করলেন, যুদ্ধাস্ত্র ও রণসম্ভার সংগ্রহ করলেন এবং প্রচ- সাহসিকতায়
যুদ্ধ পরিচালনা করলেন। দেশকে স্বাধীন করতে এক বড় ভূমিকা রাখলেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর সাহসী ভূমিকা এবং অসামান্য অবদানের কারণে তিনি
বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। ১৯৭৫ সালে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানের
ফলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে
সিপাহি-জনতার এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের
রাজনীতির ভরকেন্দ্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। স্বল্প সময়ের
শাসনামলে নানা সঙ্কটে বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির এক বিশেষ
মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে অধিষ্ঠিত করে তিনি ইতিহাসে নিজের অক্ষয় স্থান
নিশ্চিত করেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বহুদলীয় ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অর্থনীতির
পুনরুজ্জীবন, সময়োপযোগী গতিশীল পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ব
রাজনীতিতে বাংলাদেশের স্বতন্ত্র অবস্থান ও গতিপথ নির্ধারণ এবং আঞ্চলিক
পর্যায়ে সহযোগিতার পথনির্দেশ শহীদ জিয়ার অন্যতম অবদান। তিনি দেশের
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করেন। উৎপাদনের রাজনীতির মাধ্যমে দেশীয়
অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করেন। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির আখ্যা থেকে খাদ্য
রপ্তানীকারক দেশে পরিণত করেন। তার অর্থনৈতিক সংস্কারের কারণেই বাংলাদেশের
অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমান সরকার শহীদ
জিয়ার অবদানকে অস্বীকার করে, তাঁর খেতাব কেড়ে নেওয়ার ধৃষ্টতা দেখায় এবং
তাঁর গড়া দল বিএনপিকে ধংবস করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু ইতিহাস
থেকে কারো অবদান জোর করে মুছে দেয়া যায় না। ইতিহাস চলে তার আপন গতিতে।
জনগণের মনিকোঠায় যার স্থান তিনি জনগণের হৃদয়ে আজীবন বেঁচে থাকবেন। শহীদ
জিয়ার আদর্শ, দেশপ্রেম, সততা ও কর্মনিষ্ঠা আজ জাতীয়তাবাদী শক্তির
প্রেরণার উৎস। তাঁর আদর্শ ধারণ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক
তারেক রহমান এর নেতৃত্বে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আজ তাঁর
শাহাদাৎ বার্ষিকীর দিনে আমরা তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাঁর
স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু
বলেন, জিয়া একটি ইতিহাস। জিয়া একটি প্রতিষ্ঠান। জিয়া একটি বৈপ্লবিক
চেতনা। জিয়া একটি রাজনৈতিক দর্শন। শহীদ জিয়ার ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আজ
তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। এই মহান জাতীয়তাবাদী নেতার জনপ্রিয়তা
দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারী শক্তি কখনই মেনে নিতে পারেনি। তাই ক্ষণজন্মা এই
সিংহ পুরুষকে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পৃথিবী থেকে মর্মান্তিকভাবে বিদায়
নিতে হয়েছে। তাঁর অপরাধ, তিনি দেশকে বুক উজাড় করে ভালোবেসেছিলেন, জাতির
স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখ-তা নিশ্চিত করতে কঠিন কিছু পদক্ষেপ
নিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন জাতিকে একটি মর্যাদাবান ও গৌরবোজ্জ্বল সোপানে
পৌঁছে দিতে। আজ তাই জাতীয় জীবনের চলমান সংকটে শহীদ জিয়ার প্রদর্শিত পথ ও
আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। জাতীয় স্বার্থ,
বহুমাত্রিক গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার সুরক্ষায় ইস্পাত কঠিন গণঐক্য গড়ে
তুলতে হবে।

তিনি আজ ৩০ মে (রবিবার) দুপুর ২টায় মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয়
গণতন্ত্রের প্রবর্তক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর ৪০তম
শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে
পশ্চিম ষোলশহরস্থ শাহ জালালীয়া তৈয়বিয়া সুন্নিয়া একাডেমির মাদ্রাসায়
আয়োজিত “মিলাদ ও দোয়া মাহফিল” এবং মাদ্রাসার ছাত্রদের মাঝে খাবার বিতরণ
কালে একথা বলেন।

এর পুর্বে সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে শহীদ
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর স্মৃতি বিজড়িত ষোলশহর ২নং গেইটস্থ জাতীয়
বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবদন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি
আসাদুজ্জামান দিদার, মোঃ সেলিম রেজা, হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান,
হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া , সিনিয়র যুগ্ম
সম্পাদক আলী মুর্তজা খান, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, এম.আবু বক্কর
রাজু, ওয়াকিল হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, এমদাদুল হক স্বপন,
আব্দুল মান্নান, মফিজ উদ্দিন সুমন , সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইসহাক খান,
মোঃ নাছির উদ্দিন, সাইফুল আলম দিপু , সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মোঃ বাবুল
মিয়া, নুর আলম, কামরুল হাসান, আবুল হাসেম আজাদ, জসিম উদ্দিন, আবু জাফর
রনি, তারেক ইকবাল রনি, মোঃ পারভেজ, সহ-সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মোঃ জাহিদুল
ইসলাম, জাকির হোসেন মিশু, কার্যকরী সদস্য মোঃ সাজ্জাদ হোসেন খান সহ থানা
ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।