বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন

শুক্রবার (২৮ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন। ইউএনও এ প্রসঙ্গে বলেন, কনের বয়স মাত্র ১৩ বছর। সে ওবায়দুল্লাহ নগর জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। বর ঠিক করা হয়েছিল একই ইউনিয়নের এক প্রবাসফেরত ছেলের সঙ্গে। বিয়ের প্রীতিভোজ চলাকালে বর আসার আগেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বিয়ে বন্ধ করি। উভয় পক্ষ জানায় তারা আইনজীবীর রুমে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করেছেন।

পরে মেয়ের বাবা এবং বরের ভাইকে যখন বোঝানো হয় এভাবে বিয়ে বৈধ নয় এবং আইনগত ভিত্তি নেই এবং মেয়ে ভবিষ্যতে আইনি জটিলতায় পড়বে। তখন মেয়ের বাবা ভুল বুঝতে পারেন। বর কনে উভয় পক্ষের মুচলেকা নেওয়া হয়েছে কনের ১৮ বছর পূর্ণ হলে বিয়ে দেবেন তারা।

করোনাকালে নানা কারণে হাটহাজারী উপজেলায় বাড়ছে বাল্যবিয়ে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন বিয়ের আসরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে ১ সপ্তাহে ৩টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন।

এসব বিয়ের কনের আসনে বসানো হয়েছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীদের। সূত্র জানায়, লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক ছাত্রী অলস সময় কাটাচ্ছে ঘরে। আবার আয়-রোজগার কমে যাওয়া, নানা শঙ্কা ও দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত ‘ভালো ছেলে’ হাতছাড়া না করতে অনেক অভিভাবক বাল্যবিয়ে দিচ্ছেন অপ্রাপ্ত বয়স্কদের। ইউএনওকে ফাঁকি দিতে আইনজীবীর রুমে এফিডেভিট করে নিচ্ছেন অনেক অভিভাবক। এতে উদ্বেগ বাড়ছে স্কুলশিক্ষক, সচেতনমহল, জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের।

অভিযানে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী হাসান, ইউপি সচিব আবু তৈয়ব ও ইউপি সদস্যরা সহায়তা করেন।