শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর সর্তা এলাকার আবুল কালামের পুত্র ইয়াবা সম্রাট হাসান মুরাদ রাজু ইয়াবা পাচার র্স্বণ চোরাচালনের সাথে জড়িত । ইয়াবা সম্রাট রাজু ইয়াবা ব্যবসা ও স্বর্ন চেলাচালান ছাড়া ও সর্তা খাল থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন, সর্তা খালের চর থেকে মাটি কেটে মাটি বিক্রয় করতো । ইয়াবা সম্রাট রাজু রাজু উত্তর সর্ত দমদমা জামে । মসজিদের নামে ওয়াকফ করা জমি থেকে এসকেভেটার দিয়ে গভীর ভাবে মাটি খনন করে ড্রাম ট্রাক যোগে রাতে নিয়ে উত্তর সর্তা কাজী পাড়ার আবদুল মালেকের বিপুল আয়তনের কৃষি ভরাট করে দেয় ১৫ লাখ টাকা নিয়ে । সরকার ও রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীর কঠোর নির্দেশনা রয়েছে কোন কৃষি জমি থেকে মাটি খনন করা যাবেনা । কোন কৃষি জমি মাটি ভরাট করা যাবেনা । সরকার ও রাউজানের সাংসদের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে হলদিয়ার এক প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় ইয়াবা সম্রাট রাজু রাতে এসকেভেটার দিয়ে মসজিদের জমি থেকে মাটি খনন করে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে উত্তর সর্তা কাজী পাড়া এলাকার আজমি থেকে আবদুল মালেকের কৃষি জমি ভরাট করে দেয় । মসজিদের জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে মাটি বিক্রয় করলে ও ইয়াবা সম্রাট রাজু ও তার সহযোগিদের নির্যাতনের ভয়ে কেউ মুখ খুলেনি । রাউজানের ডাবুয়ার শিল্পি মহাজন থেকে ১২ লাখ টাকা রাউজানের সাংসদের নাম দিয়ে নেয় ইয়াবা সম্রাট রাজু। ডাবুয়ার কিরন মহাজন হত্যা মামলা থেকে শিল্পি মহাজন ও তার স্বামী বিশু মহাজন থেকে বাচাঁনোর কথা বলে ইয়াবা সম্রাট রাজু ১২ লাখ টাকা নেয় । ১২ লাখ টাকা নেওয়ার পর ও মামলা থেকে অব্যাহতি না পাওয়ায় শিল্পি মহাজন ইয়াবা সম্রাট রাজু বিরুদ্বে রাউজান থানায় প্রতরনার মামলা করে। প্রতারনার মামলা দায়ের করার পর রাউজান থানার পুলিশ ইয়াবা সম্রাট রাজুকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেন । রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ইয়াবা সম্রাট রাজুর বিরুদ্বে প্রতরানা মামলা সহ তিনটি মামলা করে এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা । ইয়াবা সম্রাট রাজু বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে রয়েছে । মসজিদের জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়া প্রসঙ্গে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি নাসির উদ্দিন মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে, নাসির উদ্দিন মেম্বার বলেন, মসজিদের জমি থেকে মাটি কাটার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আমার কাছ থেকে মসজিদের জমি থেকে মাটি কাটার কোন অনুমতি কেউ নেয়নি । আবদুল মালেক ও তার কৃষি জমি ভরাট করার বিষয়ে আমার কাছ থেকে কোন অনুমতি নেয়নি । উত্তর সর্তা এলাকার ব্যবসায়ী দিদারুল আলম বলেন, দমদমা জামে মসজিদের ৮০ শতক জমি ওয়াকফ সম্পত্তি । মসজিদের জমি নাসির উদ্দিন মেম্বার সহ ইয়াবা সম্রাট রাজু বিক্রয় করে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালায় মসজিদের জমি ওয়াকফ হওয়ায় তা বিক্রয় করতে পারেনি । পরে মসজিদের জমি থেকে মাটি খনন করে মাটি বিক্রয় করে রাজু । ব্যবসায়ী দিদারুল আলম আরো বলেন, ইয়াবা সম্রাট রাজু ও তার সহযোগিরা হলদিয়ার এক প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় দমদমা জামে মসজিদের আঙ্গিনায় রোপন বৃক্ষ ও মসজিদের জন্য দমদমা সড়কে রোপন করা বৃক্ষ কেটে বিক্রয় করে দেয় । ইয়াবা সম্রাট রাজু মসজিদের জমি থেকে মাটি খনন করে মাটি বিক্রয় করার বিষয়ে কোন অভিযোগ করছে কিনা ব্যবসায়ী দিদারুল আলমের কাছে জানতে চাইলে, ব্যবসায়ী দিদারুল আলম বিষয়টি রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীকে জানানো হয়েছে ।