রাউজানের গিরিছায়াতে দুই ভাল্লুকের বিয়ে 

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজের ব্যবস্থাপনায় গিরিছায়াতে ঈদ পুর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে গিরিছায়ার চিড়িয়াখানায় কাচাঁবন্দি দুই কপোত কপোতি ভাল্লুকের বিয়ে দেওয়া হয়। গত ১৮ মে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পযর্ন্ত পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডস্থ গিরিছায়ায় উৎসব মূখর পরিবেশে চিড়িয়াখানায় ছোট থেকে বড় হওয়া ভাল্লুকের বিয়েতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। বিয়ের অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র আমন্ত্রণ জানায় শতাধিক মানুষকে। আয়োজন করা হয় দুপুরের খাওয়ার। খাওয়ারের তালিকায় ছিল রুচি সম্মত নানা পদের বাহারী আইটেম। সকালে মেয়র আগত অতিথিদের সেমাই, নুডুস, কয়েক রকম জুজসহ আম, আনারস, আপেল আঙ্গুর, আনার, পেঁপে, পেয়ারা, কফি ও বিস্কুট দিয়ে আপ্যায়ন করেন। সকালে নাস্তা শেষে শুরু হয় ভাল্লুকের বিয়ের অনুষ্ঠান। দীর্ঘ ছয় বছর পুরুষ ভাল্লুক একটি কাঁচায় বন্ধি ছিল। দীর্ঘ চার বছর ধরে অপর একটি কাচাঁয় বন্ধি ছিল মায়াবতী মেয়ে ভাল্লুক। পাশাপাশি কাঁচায় বন্ধি অবস্থায় দুই ভাল্লুকের প্রেম হয়। প্রায় সময় এই অবুঝ প্রাণী দুইটি কাঁচার ছোট ছোট ফাঁকে তাদের ভাষায় ভাব বিনিময় করতে দেখা যেত। এমন উপলব্ধি ছিড়িয়াখানার কর্মচারীরা দেখতো। একই ভাবে ছিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনা চেয়ারম্যান পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজেরও প্রায় সময় দুই ভাল্লুকের ভাব বিনিময় দৃশ্য দৃষ্টিঘোচরে আসে। তিনি তাদের একাকিত্ব জীবনের অবসান ঘটাতে একটি দিনক্ষনের অপক্ষোয় ছিলেন। অবশেষে রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর পরামর্শ ক্রমে সেই মাহেন্দ্র ক্ষনের আয়োজন করেন মেয়র। সাংসদের উপস্থিতিতে একটি বড় আকৃতির কাঁচা পরিস্কার করা হয়। ধূয়ে মুছে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ঐ কাঁচায় বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। প্রথমে মেয়ে ও পুরুষ ভাল্লুককে দেওয়া হয় উন্নত মানের খাওয়ার। তারপর দুই জনকে এক কাঁচায় প্রবেশ করানো হয়। দুই জনেই এক কাঁচায় প্রবেশ করে দুই পাঁয়ে দাঁড়িয়ে ভাল্লুক ভাল্লুকি আলিঙ্গন করতে দেখা যায়। এসময় ঝরনার ধারায় পানি ছিঁটানো হয় আয়োজক কমিটির পক্ষে থেকে। তখন পানির পরশে খেলতে থাকে এই নব দম্পতি। বিয়ের এই মাহেন্দ্র ক্ষনে সাংসদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ করিব সোহাগ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নুর মোহাম্মদ, রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুণ, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ, পৌর কাউন্সিলর বশির উদ্দিন খান, জানে আলম জনি, এডভোকেট সমীর দাশ গুপ্ত, এডভোকেট দিলীপ কুমার চৌধুরী, শওকত হাসান, জসিম উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হিরু, আবদুর জব্বার সোহেল, শফিকুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল মোমেন, ছৈয়দ হোসেন কোম্পানী, আজিজুল হক কোম্পানী, মুছা আলম খান চৌধুরী, যুবলীগ নেতা সারজু মোহাম্মদ নাছের, তপন দে, আবু ছালেক, ছাত্রলীগ নেতা জিল্লুর রহমান মাসুদ, অনুপ চক্রবর্তী, মোহাম্মদ আসিফ প্রমুখ