চট্টগ্রামে খুলেছে অফিস-আদালত ও ব্যাংক-বীমা

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিন দিনের ছুটি শেষে চট্টগ্রামে খুলেছে অফিস-আদালত ও ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠান। পুঁজিবাজারেও লেনদেন চলছে।

রোববার (১৬ মে) সকালে সরকারি অফিসগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতির হার ছিল তুলনামূলক কম। যারা হাজির হয়েছেন তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে সময় পার করছেন।

তবে বেসরকারি কিছু অফিস, ব্যক্তি মালিকানাধীন কল-কারখানা এখন বন্ধ রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনের সরকারি ছুটি শুরু হয়। শুক্রবার (১৪ মে) উদযাপিত হয় ঈদুল ফিতর।

চট্টগ্রাম বন্দরের এক কর্মকর্তা বলেন, ঈদের দিনও সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কনটেইনার স্থানান্তর, সংরক্ষণ, ডেলিভারি, কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংসহ সব অপারেশনাল কার্যক্রম চলেছে। এরপর থেকে পুরোদমে কাজ চলছে। উপস্থিতিও প্রায় স্বাভাবিক।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন কার্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি কম। অনেক চেয়ার-টেবিল ফাঁকা দেখা গেছে। দাফতরিক কাজও চলছে ঢিমেতালে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের কুশল বিনিময়ে সময় কাটিয়েছেন।

ব্যাংকগুলোতে রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে লেনদেন। তবে গ্রাহকদের ভিড় ছিল না। শেয়ারবাজারে লেনদেন হয় সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।

এদিকে করোনার সংক্রমণ রোধে আবারও ১৭-২৩ মে লকডাউন দেওয়া হচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ-মাদরাসা) চলমান ছুটি ২৯ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আন্তঃজেলা গণপরিবহন এখনও বন্ধ রয়েছে। ট্রেন চলাচলও বন্ধ। তাই ঈদে গ্রামে যাওয়া মানুষকে শহরে ফিরতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেকে ভাড়া করা গাড়িতে শহরে ফিরছেন। যদিও আশপাশের উপজেলা থেকে নগরে রোববার কিছু বাস এসেছে যাত্রী নিয়ে। নগরের প্রবেশ মুখ নতুন ব্রিজ, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, অক্সিজেন, অলংকার মোড়ে দেখা গেছে মানুষের আনাগোনা।

শহরের রাস্তায় কিছু রিকশা, অটোরিকশা চলাচল করলেও বড় যানবাহন কিংবা ব্যক্তিগত গাড়ি একেবারেই কম। ছোট, বড় দোকানপাটও বন্ধ। ফলে রাস্তাঘাট, অলিগলি এখনও কোলাহলমুক্ত।