প্রয়োজনের কারখানা বন্ধ করে অক্সিজেন সরবরাহ দেবে আবুল খায়ের

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় একেএস অক্সিজেন প্ল্যান্ট প্রতিদিন উৎপাদন হয় ২৬০ টন। প্ল্যান্ট থেকে প্রতিদিন ২০ টন সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনের শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধকরেই দিনে ২০৭ টন অক্সিজেন মেডিকেলে সাপ্লাই হবে বলে জানান তারা।

এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে ভারত থেকে অক্সিজেন সরবরাহ। এমন সংকটময় মুহূর্তে অক্সিজেন সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রামের আবুল খায়ের শিল্প গ্রুপ। তাদের নিজস্ব প্ল্যান্ট থেকে প্রতিদিন ২০ টন অক্সিজেন দেয়া হবে বলে জানায় গ্রুপটি।

মহামারি করোনা যখন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে তখন ভারত নিজেদের চাহিদা মেটাতে ঘোষণা দিল বাংলাদেশে রপ্তানি করবে না অক্সিজেন। এতে কিছুটা উদ্বেগ আর চিন্তার ভাজ সাধারণ মানুষের মাঝে।

এমন সংকটময় মুহুর্তে চট্টগ্রামের শিল্প গ্রুপ আবুল খায়ের দিলো সুখবর। তারা ঘোষণা দিয়েছে ভারত থেকে আমদানি করা ৫০ টন পরিমান লিকুইড অক্সিজেনের চাহিদা পূরণ করবে।

আবুল খায়ের গ্রুপের সিইও মো. আবদুল্লাহ বলেন, ২৬০ টন সহজলভ্য আছে তার মধ্যে আমরা জরুরি ভিত্তিতে ২০ টন সহজলভ্য করেছি লিকুইডটা। বাংলাদেশে প্রতিদিন ২০০ টনের মতো চাহিদা রয়েছে। আমাদের ক্যাপাসিটি দিনে ২০৭ টন। সে হিসেবে আমাদের চাহিদা পুরণের সামর্থ রয়েছে।

আবুল খায়ের গ্রুপের সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সট মো. শামসুদ্দোহা বলেন, আমাদের প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ টন যে লিকুইড প্রোডাকশন আছে তা বিভিন্ন হাসপাতালে আমরা সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আবুল খায়ের কর্তৃপক্ষ।

আবুল খায়ের স্টিল লিমিটেডের এইচআর মো. ইমরুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, আমরা মজুদ ও সরবরাহ বজায় রাখবো। দেশের যে ক্রান্তিকাল যাতে তা উত্তরণ করা যায় সেই চেষ্টা করছি। দেশের মানুষের জানমাল রক্ষার জন্য আমরা প্রয়োজনে শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে অক্সিজেনের পুরোটা মেডিকেলের দিকে সাপ্লাই দিব।

২০২০ সালে আবুল খায়ের গ্রুপ ১০ হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিলের পাশাপাশি ৫ হাজার সিলিন্ডার বীনা মূল্যে বিতরণ করে। এছাড়া ২০টি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করে দেয় গ্রুপটি।