সাত কলেজে হবে ৮ মাসে সেশন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ আট মাসে সেশন শেষ করার সিদ্ধান্ত না নিলেও করোনার এই ক্রান্তিলগ্নে সেশনজট এড়াতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সময় কমিয়ে সেশন শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। আজ সোমবার সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির আয়োজনে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঢাবির সিদ্ধান্ত ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে সাত কলেজ প্রশাসন পূর্ব থেকেই সেশন কমানোর পরিকল্পনা করে আসছে এবং তা করা হবে। ঈদের পরপরই আটকে থাকা পরীক্ষা (অর্নাস ৩য় বর্ষ, মাস্টার্স শেষ বর্ষের) সমূহ অনুষ্ঠিত হবে এবং এ সপ্তাহের মধ্যেই রুটিন প্রকাশ করা হবে। তবে সিলেবাস পূর্বের ন্যায় বহাল থাকবে কমানো হবে না।

সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদের সঞ্চালনায় সাত কলেজের চলমান নানান ইস্যু নিয়ে “সাত কলেজঃ সমস্যার শনি শিরোনামে” ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার, তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আশরাফ হোসেন, দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মুসতাক আহমেদ, সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শামিম হোসেন শিশির। এ সময় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত সাত কলেজ প্রশাসনের দিকে নানান যৌক্তিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন।

অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ বলেন, করোনাকালীন সময়ে শুধু সাত কলেজ নয় দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রমেই বাঁধার সৃষ্টি হয়েছে। তবুও সাত কলেজ প্রশাসন সমস্যা কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করছে। ঈদের পর ক্যাম্পাস খুললে এ সমস্যা গুলো সমাধান করা হবে।

ঈদ পরর্বতী পরীক্ষার সময় কত নির্ধারণ করা হবে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, যে পরীক্ষা গুলো ঈদের পরপরই হবে তাদের জন্য দুই ঘণ্টা করে সময় থাকবে।
তবে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না যেহেতু করোনা পরিস্থিতি বিভিন্ন সময় পাল্টে যাচ্ছে। হুট করে তো আর চার ঘণ্টায় ফিরে যাওয়া যায় না।

অল্প সময়ে সেশন শেষ করা হলে নির্দিষ্ট সিলেবাস কমানো হবে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, সিলেবাস কমানো হবে না। তবে শিক্ষার্থীদের সমস্যার বিষয় গুলো বিবেচনায় রাখা হবে। ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আশরাফ হোসেন বলেন, করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে চলমান পরীক্ষা গুলো নিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সাত কলেজ প্রশাসন। যেহেতু করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে ভবিষ্যতে কিধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। তবে সেশনজট কমাতে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছি। আটকে থাকা পরীক্ষা গুলো অতি শিগগিরই নিয়ে নেয়া হবে।

করোনাকালীন এই দুঃসময়ে অল্পদিনে ফর্ম পূরণের নোটিশের আর্থিক ও যাতায়াতের সমস্যা নিয়ে তিতুমীর কলেজের এক শিক্ষার্থী প্রশ্ন করলে প্রফেসর আশরাফ হোসেন বলেন, করোনায় যেহেতু আমাদের সেশন লস হয়েছে সেক্ষেত্রে পরীক্ষার কার্যক্রম এগিয়ে নিতেই আমরা ফর্ম পূরণ কার্যক্রম শেষ করেছি। শিক্ষার্থীরা সব মিলিয়ে ২০ দিনের মতো সময় পেয়ে থাকে ফর্ম পূরণের জন্য। শিক্ষার্থীদের সাথে করোনায় যাতায়াত বা অন্যান্য সমস্যা না হয়ে সে বিষয় গুলোর দিকে খেয়াল রেখেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।