মাদক মামলায় দুইজনের সশ্রম কারাদণ্ড

বন্দর থানার মাদকের মামলায় দুইজনের ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার ( ৪ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ দণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কক্সবাজার সদর থানার ফাঁসিয়াখালী এলাকার মৃত আলতাফ মিয়ার ছেলে মো. জসিম উদ্দীন ও ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া থানার বাউখালী বানাই এলাকার মৃত হাশেম হাওলাদারের ছেলে মো. জাকির হোসেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই বন্দর থানার নিমতলী বিশ্বরোডে মেরুন রঙের পিকআপ থেকে র‌্যাব ৮০ হাজার ইয়াবা্ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় তৎকালীন র‌্যাব-৭ এর ডিএমডি মো. আবুল হাসেম বাদি হয়ে বন্দর থানায় মামলা করেন।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ নোমান চৌধুরী বলেন, মাদক মামলায় ছয় আসামির মধ্যে ২ আসামি দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আদালত ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। ৪ জন দোষী প্রমাণিত না হওয়া খালাস দিয়েছেন।

একজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড

এদিকে কোতোয়ালী থানায় অপর একটি মাদক মামলায় মো. আব্দুল্লাহ নামের একজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ দণ্ডাদেশ দেন। বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন আদালতের পেশকার মো. ওমর ফুয়াদ।

সাজাপ্রাপ্ত মো. আব্দুল্লাহ কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার কোর্ট বাজার দক্ষিণ ক্লাসপাড়ার মো. আলীর ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট নগরের কোতোয়ালী থানার ফিশারিঘাট নতুন সড়কের ওপর থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আসামিকে গ্রেফতার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল হোসেন বাদি হয়ে কোতোয়ালী থানায় মাদক আইনে মামলা করেন। ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর চার্জ গঠন করা হয়।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ নোমান চৌধুরী বলেন, মাদক মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় মো. আব্দুল্লাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।