মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার অপর নাম জিয়া

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র প্রস্তুতি সভায় মাহবুবের রহমান শামীম

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশের স্বাধীনতার সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। এই বেতার কেন্দ্র থেকেই শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশ ও জিয়াউর রহমান একে অপরের সম্পূরক । মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার অপর নাম জিয়াউর রহমান। মেজর জিয়া ছিলেন রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সেনাপ্রধান এবং বাংলাদেশের একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য স্বাধীনতাত্তোর তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়েছে। জিয়াকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয়। জিয়া বাংলাদেশের আপামর জনগণের হৃদয়ে মেজর জিয়া নামে প্রতিষ্ঠিত। তিনি সোমবার (১৫ মার্চ) বিকালে দোস্ত বিল্ডিং দলীয় কার্যালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ২৭ মার্চের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের সামনের সমাবেশ সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিএনপি বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। এই কর্মসূচীর অংশ হিসাবে আগামী ২৭ মার্চ শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষনার স্মৃতি বিজড়ীত কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের সামনের মাঠে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। তাই ২৭শে মার্চের সমাবেশকে সফল করার জন্য বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। সেদিনের সমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে হবে। জনসমাবেশের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে চট্টগ্রাম বিএনপি ও শহীদ জিয়াউর রহমানের ঘাটি। আর এ চট্টগ্রাম থেকে হবে ফ্যাসিবাদ সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন। সকল বাঁধা বিপত্তি ডিঙিয়ে ২৭ তারিখ সমাবেশ সফল করার আহবান জানান তিনি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মেজর জিয়া জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন বলেই আজ স্বাধীন দেশ পেয়েছি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মিশে আছেন মানুষের হৃদয়ে-অন্তর জুড়ে। তাই যারা কটাক্ষ করে অপবাদ দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন তারা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। ইতিহাসের চলমান গতিধারাকে কেউ যদি ক্ষমতা দেখিয়ে রুদ্ধ করতে চায় সেটি সাময়িকভাবে রুদ্ধ করা গেলেও ইতিহাসের গতিধারা অতীতেও কেউ পাল্টাতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবেনা। সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব যখন স্বাধীনতার ঘোষনা দিতে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে এই দুঃসাধ্য কাজটি করতে এগিয়ে এসেছিলেন মেজর জিয়াউর রহমানই। তিনি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জীবন বাজী রেখে দেশের স্বাধীনতা ঘোষনা না করলে আজকে দেশের ইতিহাস ভিন্ন হতে পারতো। মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার ইতিহাস মানুষের হৃদয়ে গ্রথিত হয়ে আছে। দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার ও হারুনুর রশিদ। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোশারফ হোসেন, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, মফজল আহমদ চৌধুরী, জামাল হোসেন, হুমায়ুন কবির আনসার, লায়ন হেলাল উদ্দীন, চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, বাশখালী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মাষ্টার মো. লোকমান চেয়ারম্যান, বাঁশখালী পৌরসভা বিএনপি’র আহবায়ক রাসেল ইকবাল মিয়া, বোয়ালখালী পৌরসভা বিএনপি’র আহবায়ক মোঃ শহিদুল্লাহ চৌধুরী, পটিয়া পৌরসভা বিএনপি’র সদস্য সচিব গাজী মোহাম্মদ তাহের, চন্দনাইশ পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব মাহবুব চৌধুরী, বিএনপিনেতা মোঃ কামাল উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান, সিঃ যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সি. সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহী, ওলামাদলের মোঃ আনিস প্রমূখ। সংবাদ প্রেরক মোস্তাক আহমেদ খান সদস্য সচিব দক্ষিণ জেলা বিএনপি ০১৯১৯-৬৪২২৪০ ছবির ক্যাপশন:- ২৭ মার্চের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের সামনের সমাবেশ সফল করার দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখছেন মাহবুবের রহমান শামীম