পেকুয়ায় আগুনে ভস্মীভূত বসতবাড়ি ও ছয় দোকান

পেকুয়া (কক্সবাজার)প্রতিনিধি :

কক্সবাজারের পেকুয়ায় আগুনে পুড়ে ছাই হলো দুই বসতবাড়ি ও ছয় দোকান। এতে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

শনিবার (১৩মার্চ) দিনগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বটতলীয়া পাড়া এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটে। খবর পেয়ে পেকুয়া ফয়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম ও পেকুয়া থানার এস আই আব্দুল হকসহ একদল পুলিশ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত স্থান পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বটতলীয়া পাড়া এলাকার মৃত মোজাহের আহমদের ছেলে সিএনজি চালক রেজাউল করিম ও ইকবাল হোসেনের বাড়িতে একদল দুর্বৃত্ত আগুন লাগিয়ে দেয়। মুহুর্তেই এ আগুন চর্তুদিকে ছড়িয়ে পড়লে পাশের ৬টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যাই। দোকানের লকারে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও দামি আসবাবপত্রসহ প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া পাশের শাহেদুল ইসলামের বসত ঘরের আংশিক পুড়ে যায়।

বাড়ির মালিক রেজাউল করিম বলেন, ঘটনার দিন আমারা পরিবারের লোকজন ১০টার দিকে রাতের খাবার শেষ করে ঘুমাতে যাই। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে আমার মা ঘুম থেকে জেগে উঠে বাহিরে আগুন দেখতে পায়। মায়ের চিৎকারে আমরা ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আমার বাড়ির উত্তর পাশের অংশ আগুনে পুড়ে যাচ্ছে। বাড়ির লোকজনসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করতে থাকি।

বাড়ির অপর মালিক ইকবাল হোসেন বলেন, কিছু বুঝে উঠার আগেই আগুন সর্বত্রে ছড়িয়ে। ফলে অনেক চেষ্টার পরেও আমরা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারিনি। যতদূর বুঝলাম পূর্ব শত্রুতার জেরে দুবৃর্ত্তরা দাহ্য পদার্থ ছোঁড়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।

খবর পেয়ে পেকুয়ার সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। তবে পৌঁছানোর পূর্বেই বসতবাড়িটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়।

ক্ষতিগ্রস্থদের দাবী এটি পূর্বপরিকল্পিত একটি ঘটনা। ইলেকট্রনিক পণ্য, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, আসবাবপত্র, তৈজসপত্র, কাপড়চোপড়, মূল্যবান, দলিল পত্রসহ মূল্যবান কাগজ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

পেকুয়া সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার ব্যানার্জী বলেন, খবর পেয়ে দমকল বাহিনির সদস্যদের নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। একঘন্টা ১০ মিনিট পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। তবে আগুনের সূত্রপাত এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।