ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল হেলথের ইমিউনিটি বাড়াতে হবে

করোনা প্রতিরোধের মতো ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল হেলথের ইমিউনিটি বাড়াতে হবে। জনতা ব্যাংক শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে।
যেকোনো পরিস্থিতিতে এগিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে ব্যাংকারদের।

শুক্রবার (৫ মার্চ) সকালে আগ্রাবাদ হোটেলের ক্রিস্টাল বলরুমে জনতা ব্যাংকের বিভাগীয় শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলনে ব্যাংকের সিইও ও এমডি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুছ ছালাম আজাদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, করোনা মহামারিকালে জনগণের পাশে ছিল জনতা ব্যাংক। বঙ্গবন্ধুর হাতে লেখা জনতা ব্যাংক জনগণের ব্যাংক হিসেবে সবসময় জনকল্যাণে নিবেদিত। করোনা পরিস্থিতিতে সবকিছু যখন বন্ধ রাখতে হয়েছে তখন জনতা ব্যাংকসহ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো নির্ভীক ভূমিকা পালন করেছে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়ন তথা অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে সবার আস্থা অর্জনে সর্বোচ্চ গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর জনতা ব্যাংক।

সম্মেলনে শাখা ব্যবস্থাপকদের উদ্দেশে তিনি শতভাগ গ্রাহক সেবার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, জনগণ থেকে আমানত সংগ্রহ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, কৃষি ও নারী উদ্যোক্তাদের ঋণদানের ব্যবস্থা করে সর্বস্তরের জনগণকে সেবা দিতে হবে। ঋণ বিতরণের পাশাপাশি গ্রাহক-ব্যাংকার সম্পর্ক উন্নয়ন করে শ্রেণিকৃত ঋণ আদায় ও হ্রাস, আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ও বৈদেশিক রেমিটেন্স বাড়াতে হবে। মুনাফা অর্জনসহ কোনো সূচকে পিছিয়ে থাকা যাবে না। জনতা ব্যাংকের কাছে রাষ্ট্র তথা সরকার ও জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি, তাই দিন শেষে জনগণের জন্য কিছু করতে হবে, যাতে জনতা ব্যাংকের সুনাম অক্ষুণ্ন থাকে।

ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা, যুদ্ধজয়ের স্মৃতিচারণ করেন আব্দুছ ছালাম আজাদ।

জনতা ব্যাংকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার মো. কামরুল আহছানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএমডি মো. আব্দুল জব্বার।

অতিথি ছিলেন প্রধান কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার হুসেইন ইয়াহিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ আবুল মনসুর, মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ও মাসফিউল বারী।

সম্মেলনে ডিজিএমদের মধ্যে বক্তব্য দেন মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী, মো. ফারুক আহমদ, মো. সরওয়ার কামাল. মো. জাকারিয়া, মো. মোস্তফা আনোয়ার ও আলেয়া বেগম।

এজিএমদের মধ্যে বক্তব্য দেন মো. নূরুল মোস্তফা, পীযূষ কান্তি ভদ্র, মো. আবুল মনসুর, মো. আবদুস শাকুর, ফজলুল হক, শম্ভু দাশ ও মো. ছিদ্দিক আকবর প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের সব শাখা ব্যবস্থাপক, উপ-মহাব্যবস্থাপক ও সহকারী মহাব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো. আব্দুল জব্বার বলেন, আমানত হচ্ছে রক্তপ্রবাহের মতো ব্যাংকের প্রাণশক্তি। তাই আমানত ধরে রাখতে হবে। কোভিড পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সবধরনের প্রণোদনা কর্মসূচি জনতা ব্যাংক বাস্তবায়ন করেছে। বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তা ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিতে জনতা ব্যাংক সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করেছে। ব্যাংকিং ব্যবসায় লাভের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করাই আমাদের লক্ষ্য।

২০২১ সালের সব ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করার জন্য তিনি শাখা ব্যবস্থাপকদের পরামর্শ দেন।

জেনারেল ম্যানেজার মো. কামরুল আহসান বলেন, বিগত বছর করোনার সময়েও জনতা ব্যাংক চট্টগ্রাম বিভাগ বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমর্থ হয়েছে। চলতি বছরও সব ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে সে সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।