‘মাদকাসক্ততায় আগামী জেনারেশন ধ্বংস হতে থাকলে দেশের উন্নয়নে শূন্যতা সৃষ্ঠি হবে’

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন বলেছেন তারুণ্যকে ধ্বংস করছে মাদক, তারুণ্যকে বিপথগামী করছে জঙ্গিবাদ। আজ ইয়াবা নতুন প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এভাবে আগামী জেনারেশন ধ্বংস হতে থাকলে দেশের উন্নয়নে বড় শূন্যতা সৃষ্ঠি হবে। দেশের সামগ্রিক সমৃদ্ধি বজায় রাখতে মাদক,জঙ্গিবাদ -কে রুখতে হবে।আজ রোববার সকালে উত্তর মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড-এর উদ্যোগে আয়োজিত সন্ত্রাস,মাদক,জঙ্গিবাদ ও দুনীতি বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির ব্ক্তব্য তিনি একথা বলেন।স্বাগতিক কাউন্সিলর শফিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে চসিক আইন শৃংখলা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর এইচ.এম.সোহেল , সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফরোজা কালাম ,নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আকতার ,স্পেশাল জজ জাহানারা ফেরদৌস ও মাদক অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এমদাদুল ইসলাম বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পক্ষে হোসেন মুরাদ, এম এ মান্নান, আলহাজ্ব এম এ বকর, সৈয়্যদ এনামুল হক মুনিরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুসা আল নুরী, এজহারুল হক, মো. ইদ্রিস, প্রিন্সিপাল হাজেরা খাতুন, মাওলানা তানভীর হোসাইন, ছাত্রনেতা নওশাদ, যুবনেতা নরুনবী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিপুল কুমার দে ও ইসরাত জাহান মিলি।
মেয়র বলেন মাদক ও জঙ্গিবাদ দু’টিই অভিন্ন দুই শত্রু। জঙ্গিবাদ ও মাদকের ভয়াবহতা আজ জাতীয় সমৃদ্ধির প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে পরিবারে একজন মাদকসেবী থাকে সেই পরিবারের দুঃখের সীমা থাকেনা । জাতির এই মরণ ব্যাধি থেকে আমাদের প্রজম্মদেরকে বেরিয়ে আনতে হবে । এক্ষেত্রে মাদকাসক্ত পিতা মাতা ও অভিভাবকে দায়িত্ব সর্বাগ্রে অগ্রগন্য। এই প্রসংগে মেয়র বলেন সন্তানরা যখন বড় হতে থাকবে তখন মা-বাবা ও অভিভাবকদের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে তারা কোথায় যায় এবং কাদের সঙ্গে মিশে, সেদিকে নজর রাখা। মাদকাসক্তি বা জঙ্গি মানসিকতার মানুষের সঙ্গে যদি কেউ মেলামেশা করছে বলে জানা যায় তবে তা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে এবং নিজেদের দ্বারা তা সম্ভব না হলে সমাজপতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান,সন্ত্রাস বিরোধী ওয়ার্ড কমিটিকে অবহিতকরণ,প্রয়োজনে সরকারি সংস্থাকে জানানোর পরামর্শ দেন মেয়র। মেয়র বলেন ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। আর যারা ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালিত করে ,তারা প্রিয় নবী (সাঃ) এর শিক্ষা ও আর্দশ থেকে অনেক দূরে। নিজেদের স্বার্থ চরিত্রার্থ করার উদ্দেশ্যে এই পথ বেঁচে নিয়েছে। এসব ভন্ডদের নিকট থেকে আমাদের সন্তানদের রক্ষা করার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন মাদক সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদ ও দুনীতিবাজদের চিহ্নিতকরণ এবং তাদের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ-কার্যক্রম আরও অনেক জোরদার করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার তো বটেই, সাধারণ মানুষসহ সব মহলের দায়িত্ব রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।