কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান করবেন শাহাদাত

বিএনপির ৬৯ নেতাকর্মীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনের আগে তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন। এই নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে সব কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।

সোমবার সকালে নসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। ডা. শাহাদাত বলেন, গতরাত সাড়ে ১২টায় নাগরিক ঐক্য পরিষদের বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিমকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় চকবাজার থানা পুলিশ। সঙ্গে তার ছেলেকেও ধরে নিয়ে যায়। অথচ তার ছেলে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। গতকাল রাত পর্যন্ত আমাদের ৪৯ নেতাকর্মীকে তুলে নিয়ে গেছে। আজ আমার কাছে আরও ২০ জনের লিস্ট আছে। আমরা এখন রিটার্নিং অফিসারের কাছে যাব।নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে, এই আশ্বাস নির্বাচন কর্মকর্তারে কাছে চাই। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের নির্বাচন কর্মকর্তাকে আমরা এ পর্যন্ত ৪০টি অভিযোগ দিয়েছি। আমরা নয় দফা দাবি দিয়েছি। তাতে আমরা সুস্পষ্ট বলেছি যে, যেহেতু এজেন্টরা নির্বাচনের অংশ, তাই ভোটের দিন তাদের যেন সুরক্ষা দেয়া হয়। এর আগে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে নেয়া না হলে নির্বাচন করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন শাহাদাত। এ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের জানানো হয়েছে যে একজন সাব ইন্সপেক্টরকে ক্লোজ করা হয়েছে। তার নাম জামাল। আর যিনি ওসি আছেন তাকেও করা হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন,পুলিশের হয়রানি থেকে মহিলা, শিশুরা পর্যন্ত বাদ যাচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোববার রাতে বাকলিয়া থানায় নেত্রী মুন্নি ও তার ১২ বছরের শিশুকে ধরে নিয়ে গেছে। নাগরিক ঐক্য পরিষদের বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিমকে রোববার রাতে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় চকবাজার থানা পুলিশ। সঙ্গে তার ছেলেকেও ধরে নিয়ে যায়। অথচ তার ছেলে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
ডা. শাহাদাত বলেন, চট্টগ্রামের নির্বাচন কর্মকর্তাকে আমরা এ পর্যন্ত ৪০টি অভিযোগ দিয়েছি। এসবের কোনো সমাধান হয়নি। গত ৭ দিন ধরে যেসব মিথ্যা মামলা হয়েছে, এই মিথ্যা মামলায় যাতে গ্রেফতার করা না হয় সেজন্য কমিশনকে বলেছি। আমাদের দাবি, এসব মামলা প্রত্যাহার করা হোক। যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমাদের জানানো হয়েছে যে একজন সাব ইন্সপেক্টরকে ক্লোজ করা হয়েছে। তার নাম জামাল। আর যিনি ওসি আছেন তাকেও করা হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।
দাবি আদায়ে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে আমরা সব কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে তাদের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো। নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে, এই আশ্বাস নির্বাচন কর্মকর্তারে কাছে চাই। একটা সময় বেঁধে দেবো নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার করার জন্য। যদি প্রতিশ্রুতি দেন, তাহলে অবস্থান কর্মসূচি করবো না। অন্যথায় আমরা অবস্থান নেবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর হেলাল,নাগরিক ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল করিম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ,এম এ আজিজ, সাইফুল আলম,আবদুল মন্নান,ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলন শেষে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের তালিকা নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান শাহাদাত।তিনি নির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।