২০২৪ সালে উড়বে ইলন মাস্কের স্টারশিপ

অন্য গ্রহের সঙ্গে সংর্ঘষে বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে পৃথিবী থেকে প্রাণের অস্তিত্ব বিলীন হতে পারে। তাই মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতি স্থাপন করতে চান স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক।

মঙ্গলযাত্রার জন্য খুব শীঘ্রই মহাকাশ যান স্টারশিপের প্রটোটাইপ উন্মোচন করবে স্পেসএক্স। পুনরায় ব্যবহারযোগ্য স্টারশিপে করে মঙ্গলগ্রহে একসঙ্গে ১০০ মানুষ পাঠানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছেন তিনি।

মহাকাশ যানের উপরের অংশটির নাম স্টারশিপ। এর হবে উচ্চতা ৫০ মিটার। নিচের অংশে থাকবে সুপার হ্যাভি বুস্টার নামের রকেট। যৌথভাবে মহাকাশ যান ও রকেটের উচ্চতা হবে ১২০ মিটার।

মহাকাশে যাত্রা করার সময় সুপার হ্যাভিতে থাকবে ছয়টি র‍্যাপ্টর। উপরে আর নিচে থাকবে চারটি পাখা। শুধু র‍্যাপ্টর তৈরিতে এক দশকেরও বেশি সময় লেগেছে। সুপার হেভি বুস্টার রকেটের ওজন হবে ৩ হাজার ৩৩০ টন।

ওড়ার সময় স্টারশিপ ও সুপার হ্যাভি আলাদা হয়ে যাবে। সুপার হ্যাভি পৃথিবীতেই রয়ে যাবে। স্টারশিপ চলে যাবে মঙ্গলে। ফিরে আসবে ৯ মাস পর। প্রতিটি স্টারশিপে ৪০টি ক্যাবিন থাকবে। প্রতিটি ক্যাবিনে থাকবে ৩ জন। স্টারশিপের ভেতরে করে ১০০ টনের বেশি পণ্য ও ১০০ মানুষ কক্ষপথে পাঠানো সম্ভব হবে।

অন্যান্য মহাকাশ যানকে পৃথিবীতে ফেরাতে প্যারাসুটের উপর নির্ভর করতে হয়। তবে স্টারশিপ পৃথিবীতে ঢুকবে ৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে এবং মাটিতে ল্যান্ড করবে লম্বালম্বিভাবে। ধীর গতিতে ল্যান্ড করানোটা স্পেসএক্সের জন্য চ্যালেঞ্জিংই হবে। কারণ এর আগে কখনও কোনো মহাকাশ যানের নিয়ন্ত্রিত পতন ঘটেনি।

স্টারশিপ রকেটের সক্ষমতা নিয়ে এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ২০২০ সালেও পরীক্ষা চালানোর সময় স্টারশিপ এসএন১ প্রোটোটাইপে বিস্ফোরণ ঘটে। ২০২৪ সালের মধ্যে মানুষ বিহীন স্টারশিপ মঙ্গলে পাঠাতে চান ইলন মাস্ক। উচ্চাভিলাষী হিসেবেই তিনি পরিচিত। তবে নিজের লক্ষ্য পূরণে খুব কমই ব্যর্থ হয়েছেন।