বেপরোয়া কাঠবাহী টমটম

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
রাউজানের ব্যস্ততম সড়ক পথ ও গ্রামীণ রাস্তাঘাটে বেপরোয়া ভাবে চলাচল করছে টমটম। স্যালো মেশিন সংযুক্ত করে পন্যবহন কাজে ব্যবহৃত এসব গাড়ি পথে পথে দুঘর্টনা ঘটাচ্ছে। ব্যস্ত সড়ক পথে সৃষ্টি করছে যানজট। অপর দিকে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক পথে রাতদিন চলাচল করছে ইটবাহী ট্রাক। প্রতি ট্রাকে চার থেকে পাঁচ হাজার পর্যন্ত ইট নিয়ে ট্রাক চলাচলের কারণে উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক সমূহ ধসে যাচ্ছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, ট্রাকে স্বাভাবিক ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত ইট পরিবহন ও ঝুকিপূর্ণ ভাবে পন্য পরিবহন কাজে ব্যবহৃত টমটম বন্ধে কঠোর নিদেশ দিয়েছিলেন রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। উপজেলা প্রশাসনের সর্বশেষ আইন শৃংঙ্খলা বিষয়ক সভায় তিনি সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই ব্যপারে ব্যবস্থা নেয়ার নিদেশ প্রদান করেছিলেন। একই সাথে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের প্রতিও স্ব স্ব এলাকার রাস্তাঘাটের ক্ষতি এড়াতে ভারি যানবাহন চলাচল ও টমটম চলাচল বন্ধ করে দিতে বলেছিলেন।
এলাকার জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায়, জনস্বার্থের বিবেচনায় সাংসদের এই নিদেশনা কার্যকর করার কোনো লক্ষণ এখনো কোথাও পরিলক্ষীত হচ্ছে না। উপজেলার বিভিন্নস্থানের মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার গহিরা-ফটিকছড়ি সংযোগ অদুদীয় সড়ক, রাউজান-আমীরহাট-ফটিকছড়ি মাওলানা দোস্ত মোহাম্মদ সড়ক, রাউজান-কাগতিয়া-নোয়াপাড়া সড়ক, রাউজান-অলিমিয়াহাট-নোয়াপাড়া সড়ক, হাফেজ বজলুর রহমান সড়ক, হলদিয়া ভিলেজ রোড, শহীদ জাফর সড়ক, ডাবুয়া রাবার বাগান সড়ক, আইলী খীল, ওয়াহেদের খীল সড়ক, পুর্ব রাউজান রাণি পাড়া সড়ক, সুলতানুল আউলিয়া সড়ক,কদলপুর সমশের পাড়া সড়ক, কদলপুর আশরফ শাহ মাজার সড়ক, চান মিয়া চৌধুরী সড়ক, বামাচরন সড়ক, মগদাই রাজা মিয়া সড়ক, কাগতিয়া মাওলানা রুহুল আমিন সড়ক, খান বাহাদুর আবদুল জব্বার চৌধুরী সড়ক, ইছাপুর সড়ক, চিকদাইর সাহেব বাড়ী সড়ক, চিকদাইর পাঠান পাড়া সড়ক, ডাবুয়া গনির ঘাট সড়ক, এয়াসিন শাহ সড়ক, হলদিয়া ভিলেজ রোড, হজরত আলী হোসন শাহ সড়ক, রাউলী সড়ক, লাম্বুর হাট সড়ক, মাওলঅনা হোসেনজ্জমা সড়ক, মোহাম্মদ জমা সড়ক, আধার মানিক ডিসি রোড, উরকিরচর এন্ডারসন সড়ক, হার পাড়া সড়ক, সামমাহলদার পাড়া সড়ক, পুর্ব রাউজান রশিদের পাড়া সড়ক, সাহেব বিবি সড়ক, বিনাজুরী জাম্মইন সড়ক পথে সন্ধ্যার পর থেকে টমটম গাড়িতে বড় বড় গাছের গুড়ি নিয়ে আসা যাওয়া শুরু হয়। নড়বড়ে যান্ত্রিক সরঞ্জামে তৈরী এসব গাড়ি চলাচল করে বেপরোয়া গতিতে। অনেক সময় পথে পথে ঘটিয়ে যায় দুঘর্টনা। অভিযোগ রয়েছে সাংসদের কঠোর নিদেশনা উপেক্ষা করে এসব গাড়ি চলাচলে সহায়তা দিয়ে আসছে স্থানীয় ধান্দাবাজ কতিপয় ব্যক্তি।
এখানকার সচেতন যারা তারা মনে করেন এলাকার রাস্তাঘাটকে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষায় স্বাভাবিক ধারণ ক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত বোঝা নিয়ে চলাচলকারী সব ট্রাক ও ঝুঁকিপূর্ণ লঙ্করঝক্কর টমটম গাড়ি চলাচল অবিলম্বে বন্ধ করে সাংসদের নিদেশ কার্যকর করা উচিত।
বিষয়টি নিয়ে কথা বললে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন স্বাভাবিক ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত ইট পরিবহনে দায়ে অনেক গাড়িকে ইতিপূর্বে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত আছে। টমটম এর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হবে ।