ফাইজারের ভ্যাকসিনের এক ডোজেই কার্যকরিতা ৯১ শতাংশ

ফাইজার/বায়োএনটেকের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের এক ডোজেই ৯১ শতাংশ মানুষের দেহে কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। ফলে বৃটিশ কর্মকর্তারা এখন এক ডোজ দিয়েই ভ্যাকসিন কার্যক্রমের গতি বৃদ্ধি করতে চাইছেন। স্বাভাবিকভাবে ২১ থেকে ২৮ দিন ব্যবধানে এই ভ্যাকসিনের দুই ডোজ প্রদান করতে হয়। এতে ভ্যাকসিনের কার্যকরিতা ৯৫ শতাংশ বলে প্রমাণিত হয়েছে। তবে প্রফেসর ড্যাভিড সালিসবারি জানিয়েছেন, এক ডোজেই কার্যকরিতা ৯১ শতাংশ। এর আগেও আমরা এ কাজ করেছি। যখন আমাদের কাছে ভ্যাকসিন স্বল্পতা ছিল তখন আমরা তা দিয়েই দুইগুন শিশুকে রক্ষা করতে পেরেছিলাম। তিনি বলেন, দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন আপনাকে শুধু অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কার্যকরিতা দিচ্ছে।
তাই বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে তাতে আমি শক্তভাবে বলতে চাই, আমাদের এখন যতবেশি সম্ভব ঝুঁকিপূর্ন মানুষদের ভ্যাকসিন প্রদানের হার বাড়াতে হবে। এক ডোজ করে সবাইকে দেয়া হয়ে গেলেই মাত্র আমাদের দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা উচিত।

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন অনুমোদন পেতে যাচ্ছে এমন সময় এই তথ্য জানা গেলো। সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেন, সরকারের উচিত এখন ভ্যাকসিন কার্যক্রম নিয়ে পুনরায় পরিকল্পনা করা এবং দ্রুত গতিবৃদ্ধি করা। ফাইজারের ভ্যাকসিনে দুই ডোজ প্রদান করতে হয় তবে প্রথম ডোজই কার্যকরি প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করতে সক্ষম। ইন্ডিপেনডেন্টে তিনি লিখেছেন, আমাদের উচিত জানুয়ারির সকল ডোজকে প্রথম ডোজ হিসেবে প্রদান করা। দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য ভ্যাকসিন মজুদ করে রাখার সময় এখন নয়।