চারটি ভ্যাকু ট্যাগ পেলো চসিক

স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়িত ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস-এফসিডিও, ইউএনডিপি সহায়তায় দেওয়া পয়োনিষ্কাশন এবং স্যানিটেশনের উন্নয়নে চারটি ভ্যাকু ট্যাগ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) হস্তান্তর করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের হাতে এসব গাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন তিনি।এর আগে চসিকের টাইগারপাস কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রশাসক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহামদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, রাজস্ব কর্মকর্তা সাহেদা ফাতেমা চৌধুরী ও চসিক আঞ্চলিক অফিস-৬ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আকতার, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, আবু সালেহ, মনিরুল হুদা, কামরুল ইসলাম, সুদীপ বসাক, ঝুলন কুমার দাশ, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদ আকতার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, পোর্ট কানেকটিং রোডের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে ওই অঞ্চল ও চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রিক ট্যাংক-লরি ও ঢাকা-চট্টগ্রাম দূরপাল্লার বাসগুলো নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। দুর্ভোগ লাঘব হবে জনসাধারণের।

তিনি আশা করেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে যে মেগা প্রকল্প চলছে, তা শেষ হলে জলাবন্ধতা আর থাকবে না। কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিং কার্যক্রম সম্পন্ন হলে চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলে নাব্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বহির্নোঙরে জাহাজজট কমবে।

চট্টগ্রাম উন্নয়নের স্বার্থে জলাবদ্ধতাসহ অন্য সব উন্নয়ন ও সেবা কার্যক্রম চসিককে চউক, ওয়াসা ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করার আহ্বান জানান তিনি।

প্রশাসক বিভিন্ন সরকারি সংস্থার বকেয়া পাওনাদি দ্রুত পাওয়ার পাশাপাশি নগরের অবকাঠামো ব্যবহারকারী সরকারি সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ প্রাপ্তি নিশ্চিত ও কর্পোরেশনের ১২শ’ কোটি টাকা দেনা পরিশোধে স্থানীয় সরকার সচিবের সহযোগিতা কামনা করেন।

চসিকের শ্রমিক-কর্মচারী লীগের (সিবিএ) নেতারা কর্মরত অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের স্থায়ী করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ সময় সিবিএ নেতাদের মধ্যে ফরিদ আহমদ, মুজিবুর রহমান, জাহিদুল আলম চৌধুরী, বিপ্লব কুমার চৌধুরী, রতন দত্ত, আব্দুল মওদুদ উপস্থিত ছিলেন।