আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমীর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব, বেফাকের সহ-সভাপতি ও আল হাইআতুল উলয়া বোর্ডের কো-চেয়ারম্যান, হেফাজতে ইসলামীর মহাসচিব আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমীর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১১টায় নূর হোছাইন কাসেমীর প্রেস সেক্রেটারি মুনির আহমেদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হুজুরের শারীরিক অবস্থা শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) রাত থেকে খারাপের দিকে গেছে। সকালে আরও বেশি সংকটাপন্ন। এ অবস্থায় আল্লাহ রব্বুল আলামীনের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। সুস্থ করার মালিক আল্লাহ।

গত ১ ডিসেম্বর শ্বাসকষ্টজনিত কারণে অসুস্থতাবোধ করলে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

নূর হোছাইন কাসেমীর ঠাণ্ডা ও শ্বাসকষ্ট থাকলেও কয়েক দফা করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল এসেছে বলেও জানান মুনির আহমেদ।

পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে তার রোগমুক্তির জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে।

নূর হোছাইন কাসেমী হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটির ঢাকা মহানগর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। সংগঠনের আমির আল্লামা আহমদ শফির মৃত্যুর পর গত ১৫ নভেম্বর নতুন করে কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে আল্লামা বাবুনগরীকে আমির ও নূর হোছাইন কাসেমীকে মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়।

তিনি একাধারে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব, আল হাইআতুল উলয়ার সহ-সভাপতি, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা ঢাকা ও জামিয়া সোবহানিয়া মাহমুদ নগরের শায়খুল হাদিস ও মহাপরিচালক। হেফাজত আন্দোলন, খতমে নবুয়ত আন্দোলনসহ প্রভৃতি আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব স্থানীয় ভূমিকা পালন করেছেন এবং ইসলামি নেতা হিসেবে মুসলিম জনসাধারণের মধ্যে তার পরিচিতি রয়েছে। এছাড়াও তিনি প্রায় ৪৫টি মাদ্রাসা পরিচালনার কাজে যুক্ত রয়েছেন।

তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন হেফাজতে ইসলামীর আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।