আজ ‘ডিপিএল’ টি-টোয়েন্টি শুরু

২০০৬ সালে যখন পৃথিবীতে টি-টোয়েন্টি সবে পদচারণা শুরু করেছে, তখনই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তার বছর দুই পরেই হারিয়ে গিয়েছিল এ টুর্নামেন্ট। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেই আবার এমন একটা টুর্নামেন্টের দাবি জোরদার হয়ে উঠেছিল। বিশেষ করে বিপিএলে দেশি ক্রিকেটারদের শক্তিশালী করতে প্রয়োজন ছিল এমন একটা ঘরোয়া টুর্নামেন্টের। অবশেষে সে দাবি কানে নিয়ে আজ থেকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আবার মাঠে গড়াচ্ছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)।

আজ টুর্নামেন্টের প্রথম দিনে ঢাকা ও আশপাশের দুটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে চারটি ম্যাচ। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সাড়ে ১২টা থেকে অনুষ্ঠিত হবে শেখ জামাল ও খেলাঘরের ম্যাচ। বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে এখানে অনুষ্ঠিত হবে আবাহনী ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যাচ। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে সকাল ৯টা থেকে অনুষ্ঠিত হবে রূপগঞ্জ ও শাইনপুকুরের ম্যাচ। একই ভেন্যুতে ১টা ৩০ মিনিট থেকে অনুষ্ঠিত হবে প্রাইম দোলেশ্বর ও বিকেএসপির ম্যাচ।

এবারের টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১২টি প্রিমিয়ার লিগের দলকে চারটি গ্রুপে বিভক্ত করে। ‘এ’ গ্রুপে আছে আবাহনী লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ‘বি’ গ্রুপে আছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব, খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি ও উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব। ‘সি’ গ্রুপের তিন দল হলো— লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ, মোহামেডান স্পোর্টিং ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। ‘ডি’ গ্রুপে আছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব, গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও বিকেএসপি।

চার গ্রুপ থেকে শীর্ষ চার দল যাবে সেমিফাইনালে। ২৫, ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে গ্রুপ পর্বের খেলা। ১ মার্চ মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে দুটি সেমিফাইনাল। আর ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচ।

এ ধরনের একটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট নিয়ে অনেকদিন ধরেই সোচ্চার ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক তারকা শাহরিয়ার নাফীস। তিনি গতকাল এ টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ায় বিসিবিকে ধন্যবাদ দিয়ে বললেন, ‘টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে শুরু হচ্ছে। এ জন্য বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাই। আর অবশ্যই টুর্নামেন্টটা জয় দিয়ে শুরু করতে চাই। যদিও অনেকে মনে করতে পারে টুর্নামেন্টটা প্রিমিয়ার লিগের প্রিপারেশন। তারপরও আমাদের অনেক কিছু শো করার আছে যেহেতু আমরা সুযোগ পেয়েছি। চেষ্টা করব ভালো পারফর্ম করার ও জয় দিয়ে যদি শুরু করতে পারি তা হলে অবশ্যই ভালো হবে।’

আপাতত গ্রুপপর্বে দলগুলো দুটির বেশি ম্যাচ পাচ্ছে না। তারপরও সন্তুষ্ট নাফীস বলছিলেন, ‘দুটি ম্যাচ, মনে হতে পারে দুটি ম্যাচে কি হতে পারে। আসলে এটা একটা শুরু। এবার দুটি ম্যাচ হচ্ছে, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল হলে মোট চারটা ম্যাচ হবে। আশা করি এটা শুরু, পরবর্তীতে হয়তো ম্যাচের সংখ্যা বাড়বে। আমরা যারা সবসময় বিপিএলে সুযোগ পাই না, তারা যদি টি-টুয়েন্টি প্ল্যাটফর্ম পাই তবে পারফর্ম করতে পারব। এ টুর্নামেন্টটি বিপিএলে আমাদের আরও সুযোগ করে দিতে সাহায্য করবে।’