মৌলবাদীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে

ভাস্কর্য অপসারণের হুমকির প্রতিবাদে জেলা নির্মূল কমিটির মানববন্ধন

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অপসারণের নামে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের হুমকির প্রতিবাদে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে আজ (২৫ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বাংলার ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর অবমাননা এবং ভাস্কর্য বিরোধীদের বাংলার মাটিতে স্থান হবে না। তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান বক্তারা।
সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদারের সভাপতিত্বে ও কার্যকরি সাধারণ সম্পাদক অলিদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন-বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট-এর চেয়ারম্যান দেশবরেণ্য মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও জাতীয় রাজনীতিক ডা. মাহফুজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি নইম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সফর আলী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও চ্যানেল আই ব্যুরো প্রধান চৌধুরী ফরিদ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম সভাপতি তপন দত্ত, সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি দীপংকর চৌধুরী কাজল, মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক হাবিব উল্লাহ চৌধুরী ভাস্কর, আবু সাদাত মো. সায়েম, আবদুল মান্নান শিমুল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক চৌধুরী, মিথুন মল্লিক, আসাদুজ্জামান জেবিন, মো. সাহাব উদ্দিন, অসিত বরণ বিশ্বাস, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রুবা আহসান, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সূচিত্রা গুহ টুম্পা, প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক সনেট চক্রবর্ত্তী, সহ-প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক রুবেল চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাজীব চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য আখতার হোসেন, মুক্তা জামান, আকিব জাবেদ, রুবেল কুমার শীল, মো. মোস্তফা কামাল, রহিম পারভেজ, মুহা. হেলাল উদ্দীন, ইমন শীল, সমর দাশ, কামাল উদ্দিন চৌধুরী, মো. মানিক, রবিন দে, অভিজিৎ পান্ডে, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা শান্ত কর্মকার, হাজেরা-তজু বিশ^বিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগ নেতা অভি বড়–য়া, নুরুল মোস্তফা, নারীনেত্রী জান্নাতুল মাওয়া, সুবর্ণা খান, সাইমুন নাহার, রুনা আক্তার, সুমি আক্তার, শবনম চৌধুরী প্রমুখ।

বক্তারা, পৃথিবীর বিভিন্ন ইসলামী রাষ্ট্র তাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভাস্কর্য স্থাপন করেছে এবং যা তাদের স্থাপত্যকলা ও সংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য অংশ উল্লেখ করে আরো বলেন, ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর এক রিটের শুনানিতে উচ্চ আদালত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের স্থানে মঞ্চ পুনঃনির্মাণ করে সেখানে তার ভাস্কর্য কেন স্থাপন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করছিল। যেখানে দেশের সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে বিভিন্ন স্থানে স্মৃতি স্তম্ভ ও ভাস্কর্য স্থাপনের, সেখানে কিছু মৌলবাদী সংগঠন তার বিরোধিতা করে আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। সরকার-উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও রাষ্ট্রের চার মূলনীতির বিরুদ্ধাচরণ দেশদ্রোহিতার সামিল।
একে ‘ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এ বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে।