আগামী কাল রবিবার সকালে কর্ণফুলীর টানেল প্রকল্পের মুল (বোরিং) কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া তিনি লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমান বন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলার প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধন শেষে আয়োজিত সুধি সমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তাই সেখানে চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। এই উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন বোরিং ও সমাবেশ স্থল পরিদশন করেন । এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সিডিএ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুচ ছালাম, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হক চৌধুরী বাবুল, কাউন্সিলর আলহাজ্ব ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী, হাজী মো. জয়নাল আবেদীন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহানুর বেগমসহ বিভিন্ন বিভাগের উদ্বর্তন কর্মকর্তারা। মেয়র বোরিং এবং সভা মঞ্চ নির্মাণের স্থান সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান যাতে সুন্দর সুচারুরূপে সম্পন্ন হয় সেই ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্টদের দিকনির্দেশনা দেন। চীনের সাংহাই শহরের আদলে চট্টগ্রামকে এক নগর দুই শহর (ওয়ান সিটি টু টাউন) গড়ে তোলার পরিকল্পনা দীর্ঘদিনের । সেই স্বপ্ন বাস্তবে রুপ দিতে সিদ্ধান্ত হয় কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল রবিবার এই টানেল উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে চট্টগ্রামবাসীর লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানী এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা । এর মধ্যে চীন অর্থায়ন করছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা,বাকী টাকা সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করছে। পরিদশনকালে মেয়র কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন । এক প্রতিক্রিয়া মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন বলেন দক্ষিণ এশিয়ার এবং দেশের প্রথম নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ করে আরেক ইতিহাস সৃষ্ঠি করবে চট্টগ্রাম । পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত,পাকিস্তান,শ্রীলংকায় নদীর তলদেশে নেই কোনো টানেল । বঙ্গোপসাগরের মিলন মোহনা পতেঙ্গার কর্ণফুলীর অদুরে রচিত হচ্ছে এই নতুন ইতিহাস। এই জন্য সিটি মেয়র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃর্তজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন ২০০৮ সালে দেয়া ওয়াদা প্রধানমন্ত্রী অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাচ্ছে। এই কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ তারই একটি অংশমাত্র। এই টানেলের মধ্যদিয়ে চট্টগ্রামের চেহারাই আমুল পরিবর্তন আসবে । শুধু যোগাযোগের ক্ষেত্রে নয় আনোয়ারায় যে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন সরকার গড়তে চাচ্ছে তাতে ও চট্টগ্রাম বাসী অনেক লাভবান হবে। এতে চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক রাজধানীর মর্যাদায় আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। এই টানেল কর্ণফুলী নদীর উভয় তীর এমনকি সারাদেশের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী ভুমিকা পালন করবে বলে মেয়র আশাবাদ করেন।











