কোস্টগার্ডের নতুন ১০টি নৌযানের কমিশনিং

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতো না। এখন সেই সমুদ্র সীমা রক্ষা করতে কোর্ট গার্ডকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। বিশাল এই সমুদ্র সীমা রক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার সকালে ভিডিও কনফারেন্সে কোস্টগার্ডের নতুন ১০টি নৌযানের কমিশনিং অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষমতায় না এলে সমুদ্রসীমার ওপর যে আমাদের অধিকার আছে সেটি কখনই প্রতিষ্ঠিত হতো না। আমরা এখন যে সমুদ্রসীমা পেয়েছি সেই সমুদ্র সম্পদ অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগানোর সুযোগ পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন,‘বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা সাগর। বিশ্বের অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য এখান থেকে চলে। সেদিক থেকে এখানে আমাদের অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে যারা বাস করেন তাদের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নতিও গুরুত্বপূর্ণ। সেদিকে লক্ষ্য রেখে সমুদ্র সম্পদকে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই।’

উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিরোধীদলে থেকেও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড গঠনে আওয়ামী লীগ ভূমিকা রেখেছে বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি জানান, ১৯৯৪ সালে বিএনপি সরকারের সংসদে বিরোধীদলে থেকেও আইন পাস করে কোস্টগার্ড গঠনের সূচনাতে আওয়ামী লীগ ভূমিকা রাখে। পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বাড়াতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে আমরা কোস্টগার্ডের আরও ব্যাপকভাবে উন্নয়নে কাজ করি। ২৭টি কোস্টাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারসহ ৫৫টি অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। গত ১২ বছরে কোস্টগার্ডের জন্য বিভিন্ন আকারে ৫৫টি জাহাজ ও জলযান নির্মাণ করা হয়েছে। নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেস নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা আমাদের কোস্টগার্ডকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে চাই।’

নতুন এ ১০টি নৌযান যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে কোস্টগার্ড আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলে জানান শেখ হাসিনা। বিভিন্ন জলযান ও যুদ্ধ জাহাজ এখন বাংলাদেশেই তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।