সাকিবের তো ফিটনেস লেভেল

আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কারণে একটি বছর ধরে ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন, ঘুরেছেন ফিরেছেন। সাকিবের তো ফিটনেস লেভেল তলানিতেই থাকার কথা।

কিন্তু ফিটনেস পরীক্ষায় দেখা গেল একদম উল্টো চিত্র। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে করা ফিটনেস পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন সাকিব। বিপ টেস্টে তার স্কোর ১৩.৭।

সোম ও মঙ্গলবার প্রায় একশরও বেশি ক্রিকেটার বিপ টেস্ট দিয়েছেন। সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৩.৬। এই স্কোর করেছিলেন কুমিল্লার পেসার মেহেদী হাসান। সাকিব সবার শেষে পরীক্ষা দিয়ে ছাড়িয়ে গেলেন সবাইকে।

৩৭৬ দিন পর গত সোমবার সাকিব এসেছিলেন শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। ফিটনেস পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল সেদিনই। কিন্তু প্রস্তুত না থাকায় দুদিন পরে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বুধবার তার সেই টেস্ট হয়েছে। সেটাতেই সবাইকে চমকে দিয়েছেন সাকিব।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ফিটনেস টেস্টে ক্রিকেটারদের জন্য মানদণ্ড বেঁধে দিয়েছিল ১১। অর্থাৎ ১১ নম্বরের কম পাওয়া ক্রিকেটাররা বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলার ছাড়পত্র পাবেন না। নাসির হোসেন, শুভাশীষ রায়, সোহাগ গাজীরা যেমন বিপ টেস্টে ফেল করেছেন।

কিন্তু সাকিব শুধু পাস করাই নয়, সবাইকে ছাড়িয়ে তুলেছেন ১৩.৭। আর বুঝিয়ে দিয়েছেন, মাঠের বাইরে থাকলেও ফিটনেস ধরে রাখার কাজটি ভেতরে ভেতরে ঠিকই করে গেছেন তিনি।

সাকিবের বিপ টেস্ট নিয়েছেন হাইপারফরম্যান্স ইউনিট ও জাতীয় ক্রিকেট দলের ট্রেনার নিক লি। পরীক্ষা শেষে এই তারকা অলরাউন্ডারকে নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাকিব ভালো করেছে। সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। একদম ঠিক ছিল।’