২ কোটি ৫৯ লাখ টাকার ইয়াবা ও ১৬ লাখ নগদ টাকাসহ আটক-১

কায়সার হামিদ মানিক,উখিয়া।
কক্সবাজারের টেকনাফ ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে র‍্যাব ও বিজিবির পৃথক অভিযান চালিয়ে ২ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকার ইয়াবা এবং ১৬ লক্ষ ১৩ হাজার ৬০০ নগদ টাকা সহ র‍্যাব-১৫ এক মাদককারবারীকে আটক করেছে। আটককৃত ইয়াবাকারবীর নাম নবী হোছন (৩৫)। টেকনাফের উনচিপ্রাং বিজিবি’র সীমান্ত ফাঁড়িতে যাওয়ার রাস্তার সম্মুখে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উপর শনিবার সন্ধ্যার দিকে র‍্যাব-১৫ এর একটি টিম এক অভিযান চালিয়ে
উল্লেখিত ব্যক্তির হাতে থাকা পলিথিন ব্যাগ থেকে ২ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা মূল্যের ৪৫ হাজার ৮০০ পিচ ইয়াবা টেবলেট এবং মাদক বিক্রি করা নগদ ১৬ লক্ষ ১৩ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করে।
র‍্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ধৃত নবী হোছন টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সিকদার পাড়ার মৃত জহির আহম্মদ ও গুলবাহারের পুত্র। জব্দকৃত ইয়াবা টেবলেট ও ধৃত আসামীকে টেকনাফ মডেল থানায় পরবর্তী আইনী প্রক্রিয়ার জন্য ইতিমধ্যে সোপর্দ করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্ত পথে পাচারের সময় ৩০ লাখ টাকার নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বিজিবি। শনিবার রাতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা যায় , নাইক্ষ্যংছড়ি সদর  ইউনিয়নের ফুলতলী লম্বাশিয়া  এলাকার মিয়ানমার সীমান্তপথে মাদকদ্রব্য পাচারকারী চক্ররা  ইয়াবা পাচার করছে। এমন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালায় বিজিবি। এ সময় ঘটনাস্থলে প্লাস্টিকের প্যাকেট রেখে তিন ব্যক্তি গহীন পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।  এর পর বিজিবি সদস্যরা প্লাস্টিক প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায় ১০ হাজার পিচ নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হন। বিজিবির অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পাচারকারী চক্র পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে না পারলেও তাদের পরিচয় পাওয়া গেছে। অভিযানে থাকা হাবিলদার আলাল উদ্দিন, নায়েক মোঃ কামরুজ্জামান জানান ফুলতলী বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন লম্বাশিয়া এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার করছিল মাদক পাচারকারীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে  টহল দল পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ১০ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করেছে।  উদ্ধারকৃত ইয়াবার বাজার মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।
নাইক্ষ্যংছড়ি  ১১ বর্ডার গার্ড ব্যাটেলিয়নের (বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ আবদুল আজিজ আহমেদ এর নির্দেশ  নায়েক সুবেদার মোঃ ইব্রাহিমসহ বিজিবির একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে এসব ইয়াব জব্দ করেন।