রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিহত ৪ জনের মধ্যে ২ জন স্থানীয় গাড়িচালক

কায়সার হামিদ মানিক,উখিয়া।
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে গোলাগুলিতে যে চারজন নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুজন স্থানীয় গাড়িচালক। মঙ্গলবার রাতে নিহতের এ ঘটনা ঘটে।বুধবার সকাল থেকে ক্যাম্পে থেমে থেমে গোলাগুলি চলে।
রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে যে দুজন গাড়িচালক নিহত হয়েছেন, তারা হলেন- টেকনাফ হ্নীলা রংগীখালীর এলাকার দিলদার আহমেদের ছেলে নুরুল বশর এবং একই এলাকার পশ্চিম সিকদার পাড়ার নূর হোসেনের ছেলে নুরুল হুদা। নিহতদের পরিবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নুরুল হুদার ভাই ইসমাইলের অভিযোগ, হ্নীলা থেকে রোহিঙ্গারা গাড়ি ভাড়া করে কুতুপালং যায়। সেখানে গাড়ির ভাড়া নিয়ে বিতর্ক হয়। এর জের ধরে নুর হুদাকে জবাই করে হত্যা করা হয়। নুরুল বশরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারী যাত্রীরা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে,বুধবার সকাল থেকে ক্যাম্পে থেমে থেমে আবারও গোলাগুলি হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও ক্যাম্পে দায়িত্বে থাকা কয়েকজন ব্যক্তির কাছ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার রাতে কুতুপালং ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানান অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু দ্দৌজা। এর আগেও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র কুতুপালং ক্যাম্পে নতুন ও পুরাতন রোহিঙ্গাদের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে গত ২/ ৪ ও ৫ অক্টোবর নারীসহ ৪জন রোহিঙ্গা খুন হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ৯জন রোহিঙ্গা ডাকাতকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, মৃত চারজনের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।