উখিয়া প্রতিনিধি:: কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপ রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন। এ সময় এক আনসার সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রাত আটটার দিকে কুতুপালং ক্যাম্প-১ এ ঘটনা ঘটে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু দ্দৌজা বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুতুপালং ক্যাম্পে নতুন ও পুরাতন রোহিঙ্গাদের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা চলছে। এ ঘটনার জেরে রাতে চারজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এর আগে গত ৪ ও ৫ অক্টোবর তিন জন রোহিঙ্গা হত্যার ঘটনা ঘটে।
এদিকে সকালে কুতুপালং ক্যাম্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে নয় জন রোহিঙ্গা ডাকাতকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
তিনি বলেন, সন্ধ্যা থেকে আবারও রোহিঙ্গাদের দু’গ্রুপ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায়। উভয় পক্ষের মধ্যে এখনো সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কত জন আহত হয়েছেন তা এখনো জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, এপিবিএন সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ’
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে চারজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে ৯ রোহিঙ্গাকে অস্ত্রসহ আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি দেশিয় তৈরি অস্ত্র, ২০ রাউন্ড কার্তুজ, ধারালো কিরিচ, লোহার রড ও গুলতি উদ্ধার করা হয়েছে।