উখিয়ায় স্বামীর নির্যাতনে ২ নারীর মৃত্যু

কায়সার হামিদ মানিক,উখিয়া।

কক্সবাজারের উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া পালংয়ে কবরী বড়ুয়া অপু নামক এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে শুনা যাচ্ছে নানান কথা।কবরী বড়ুয়া ওই এলাকার সন্তোষের ছেলে উপেল বড়ুয়ার স্ত্রী। মুক্তি নামক এনজিওতে চাকরি করতেন কবরী।

রত্নাপালং ইউপির চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী জানান,রোববার রাতে অসুস্থ হয়ে গড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে কবরীর মৃত্যু হয়।

তবে স্থানীয় ভাবে শোনা যাচ্ছে স্বামীর বাড়িতে নির্যাতনে সে নিহত হয়।নিহত গৃহবধূ এনজিও মুক্তিতে কর্মরত ছিলেন।

একটি সূত্র জানিয়েছে,এনজিওতে চাকরিব সুবাদে স্বামীর সাথে কবরীর প্রায় সময় ঝগড়া হতো।রোববার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়।এক পর্যায়ে রাতে কবরী গলায় উড়না পেঁচিয়ে ঘরের তীরের সাথে ফাঁসিতে ঝুলে।

খবর পেয়ে স্বজনেরা তাকে উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য পুতুল রাণী জানান,কবরী এনজিতে চাকরির কারণে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রায় ঝগড়া হতো।রোববার রাতেও নাকি ঝগড়া হয়েছে এবং কবরীকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে তিনি শোনেছেন।

এদিকে শনিবার উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া গ্রামে যৌতুকলোভী পাষণ্ড স্বামীর নির্দয় নির্যাতনে ছালেহা বেগম নামক এক সন্তানের জননী নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায় রামু উপজেলার খুনিয়া পালং ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালিয়া গ্রামের আব্দুস সালামের কন্যা ছালেহা বেগমের সাথে আব্দুল আজিজের বিবাহ হয়।
অভিযোগে জানাযায়, বিবাহের পর থেকে যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল স্ত্রী ছালেহাকে।শনিবার যৌতুকের দাবিতে পাষণ্ড স্বামী অমানুষিক নির্যাতন করে স্ত্রীকে।
সারাদিন স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের নির্দয় নির্যাতনের আঘাতে স্ত্রী সালেহা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। রাতে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার গৃহবধূ সালেহা বেগমকে মৃত্যু ঘোষণা করে।
জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরি সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

উখিয়া থানার নবাগত ওসি আহমদ সন্জুর মোরশেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।