নৈতিকতা বিবর্জিত কোন ব্যক্তির স্থান হবে না

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট ঘোষণা অনুযায়ী সংগঠনের কোন স্তরেই অপরাধী এবং নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত কোন ব্যক্তির স্থান হবে না। এ ধরনের ব্যক্তি ইতোমধ্যে যারা দলে ঢুকে গেছেন তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

রোববার (০৪ অক্টোবর) ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আওতাধীন তিনটি ইউনিটের কার্যকরী কমিটির সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, যতবড় নেতাই হোন না কেন কেউ যদি অপরাধী ও সমাজবিরোধীদের সাথে উঠাবসা বা কোন ধরনের সম্পর্ক রাখেন তাকেও কোনভাবে ছাড় দেওয়া হবে না। যে সকল কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগেই সংগঠনকে গুছিয়ে ফেলার কেন্দ্রীয় নির্দেশনা রয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরের মেয়াদ ও উত্তীর্ণ হয়েছে। থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ের কমিটিগুলোর সম্মেলন কোথাও কোথাও এক যুগেরও বেশি মেয়াদীর্ত্তণ অবস্থায় রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী যে সম্মেলনগুলো এখন পর্যন্ত হয়নি তা যেকোনভাবেই করে ফেলতে হবে। এছাড়াও মৃত্যুজনিত কারণে মহানগর, থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে অনেক পথ শূন্য হয়ে আছে। এই পথগুলো সতকর্তার সাথে যোগ্য ব্যক্তিদের দ্বারা পূর্ণ করা হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীতে নেতাকর্মীদের সহযোগী করোনা প্রাদুর্ভাব মোটামোটি সামাল দেওয়া হলেও এখনো বিপদ কেটে যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংকেত দিয়েছেন। তাই নেতাকর্মীদের সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি সহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে শুদ্ধাচারী জীবনযাপনের জন্য প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে তাড়িয়ে দিতে হবে। যতদিন পর্যন্ত কোন নিরাপদ ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত না হবে ততদিন পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলমান রাখতে হবে।

মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, আমাদের দলীয় আদর্শের প্রতি আনুগত্য শৃঙ্খলা ও ঐক্য সুপ্রতিষ্ঠিত হলে কোন শক্তি আওয়ামী লীগকে রুখতে পারবে না। কারন আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস জনগণ এবং জনগনের আশা আকাঙ্খা পূরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে সুসংহত করেছেন। তৃনমূল স্তরের নেতাকর্মীরা এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে গণমানুষের পাশে থাকলে তারাই একদিন নেতৃত্বে পুরোভাগে আসতে পারবে।

মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক প্রার্থী এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের মধ্যে আমরা যারা নেতা তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকতে পারে মতভিন্নতাও থাকতে পারে কিন্তু কর্মীদের মধ্যে কোন বিভেদ নাই। তারা মনে প্রাণে দলীয় ঐক্য সুসংহত করতে চান। আমি মনে করি এই সচেতন কর্মীরাই দলের মূল শক্তি।

তিনি বলেন, মেয়র পদে আমি ব্যক্তি বড় কথা নয়, নৌকা প্রতীকই সবচেয়ে বড় প্রতিপাদ্য বিষয়। কারণ এই প্রতীক স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, মাটি ও মানুষের প্রতীক। তাই নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে প্রতিটি নেতাকর্মীর দায়বদ্ধতা রয়েছে।

২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আওতাধীন এ ইউনিটের সভাপতি মো. ইব্রাহীম, বি ইউনিটের সভাপতি নুরুল আলম নুরু, সি ইউনিটের সভাপতি লোকমান হাকিম কুতুবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কার্যকরী কমিটির সভায় বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, বন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, ত্রাণ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, যুব ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য গাজী শফিউল আজিম, সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, জাফর আলম চৌধুরী, বেলাল আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের মো. মঈন উদ্দীন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ফরিদ আহমদ চৌধুরী, মো. ইয়াকুব, এ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবু, বি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মো. নাসের, সি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।